কেশবপুরের রাজনগর বাঁকাবশী গ্রামে স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে তামান্না খাতুন নামে এক গৃহবধূ কীটনাশক পানে আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কেশপুর থানা পুলিশে দেয়া অভিযোগে জানা গেছে, গত চার বছর পূর্বে কেশবপুর উপজেলার হাড়িয়াঘোপ গ্রামের মাহাবুর সরদারের কন্যা তামান্না খাতুন এর সাথে একই উপজেলার রাজনগর বাঁকাবশী গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে আসলাম সরদারের সাথে ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের সংসারে আয়েশা খাতুন নামে(২) এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর বিতর খুঁটিনাটি বিরোধ সৃষ্টি হয়। জানি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কয়েক বার সালিশ মীমাংসা করেছেন। বুধবার সকালে তুচ্ছ বিষয়ে স্বামী আসলাম দফাদার তামান্নাকে মারপিট করে এ সময় বাড়িতে অবস্থানরত শশুর হারুন-অর-রশিদ ও শাশুড়ি সুফিয়া বেগম মারপিট নির্যাতন না ঠেকিয়ে তারাও নির্যাতনে অংশ নেয়। স্বামী শ্বশুর শাশুড়ি নির্যাতন সইতে না পেরে ঘরে থাকা ধানের কীটনাশক ওষুধ সেবন করে তামান্না আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ খবর পেয়ে তামান্নার এলাকার লোকজন এসে তামান্নাকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে গৃহবধূ আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেশবপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তামান্নার ভাই শাকিল হোসেন বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।