বিএনপির চেয়াপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ সমাবেশে দফায় দফায় বিএনপি ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. মো. মজিবুর রহমান সরোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে শহরের বনানী এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ এর ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি বিএনপি নেতাদের। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ¦ আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া এবং সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আলী খান কবিরসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ক্যামেরার সামনে কথা না বলার শর্তে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরে উল্টো পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। একটা গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কেউ শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাবেশ করতে পারেনা। এর আগেও কয়েক বার হামলা করছে।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আলী খান কবির বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাবেশ করে আসছিলাম, হঠাৎ কিছু দুর্বৃত্তরা এসে জয়বাংলা বলে হামলা চালায়।
কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সে দিন বললো, বিরোধী দল নেই। বিরোধী দল সভা সমাবেশ করতে পারে। কিন্তু আমরা দেখলাম প্রধানমন্ত্রীর কথায়ও কাজ হয় না। সংসদ ও দেশে বিরোধী দলহীন রাজনৈতী চলছে। এর বিরুদ্ধে সত্যিকার অর্থে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।