মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের কালীপুরা (এনএসকান্দি) গ্রামে মো. লোকমান হোসেন নামে ৬৫ বছর বয়সী এক দোকানদারের বাড়ির সীমানা প্রাচী, রান্নাঘর ভেঙে রাস্তা নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আবুল কাশেম গংদের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত আবুল কাশেম ইমামপুর ইউনিয়নের কালীপুরা (এনএসকান্দি) গ্রামে মৃত আঃ জব্বার মিয়ার ছেলে।
গত ২৪ মে (মঙ্গলবার) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ইমামপুর ইউনিয়নের কালীপুরা (এনএসকান্দি) গ্রামে সরকার বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী মো. লোকমান হোসেন ৪জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে ৩থেকে ৪জনের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গেল মঙ্গলবার সকালে উল্লিখিত এলাকার মো. লোকমান হোসেনের তফসীল বর্ণিত ভূমিতে জোর পূর্বক রাস্তা নেওয়ার জন্য আবুল কাশেম গংরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সীমানা প্রাচীর, রান্না ঘর ভাংচুর করে এবং বিভিন্ন ধরনের ফলজ গাছপালা কর্তন করে।
এসময় লোকমান হোসেন বাঁধা প্রদান করলে আবুল কাশেম গংরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীপুরা (এনএসকান্দি) গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, লোকমান হোসেনের বসত ঘরের উত্তর পাশে সীমানা প্রাচীর ও রান্না ঘরের টিনের বেড়া ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। একপর্যায়ে গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে আবুল কাশেম গংরা লোকমান হোসেনের সাথে মারমুখী আচরণ করে।
চা দোকানদার লোকমান হোসেন জানান, আবুল কাশেম গংরা জোর করে আমার বসতভিটা উপর দিয়ে রাস্তা নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি আমার বসতভিটা দিয়ে রাস্তা না দেওয়ায় তারা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। তারা আমার রান্নাঘর ভেঙে ফেলেছে। আজ দুই দিন ধরে আমার স্ত্রী সন্তানরা না খেয়ে আছি।
এদিকে সীমানা প্রাচীর, রান্না ঘর ভাংচুর কথা জানতে আবুল কাশেম কে জিজ্ঞেস করিলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলবেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার এএসআই শরিফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।