নীলফামারীর সৈয়দপুরে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠেছে ক্লিনিক,প্যাথলোজী ও বেসরকারী হাসপাতাল। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবার মান নিয়েও নানান প্রশ্ন জনমনে। তাছাড়া এগুলোতে দুই চারজন দক্ষ চিকিৎসক থাকলেও বেশীর ভাগ চিকিৎসক রয়েছে অদক্ষ এবং নামমাত্র। অতীতে এ শহরের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা নীরিক্ষা সঠিক নয় এমন প্রশ্ন ওঠে। পেপার পত্রিকায়ও লেখালেখি হয়। কোন কোন প্রতিষ্ঠান আবার এটিকে নিয়ে করেন সংবাদ সম্মেলন।
কিন্তু ওই সময় কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালকগনকে দেখা যায় ছুটাছুটি করতে। আবার চালাকরা ছুটে যান জেলা সিভিল সার্জনের দপ্তরে।
সৈয়দপুরে এসকল ক্লিনিকে নেই কোন দক্ষ আয়া,নেই নার্স ও ডাক্তার। তবে বর্তমানে বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে ঢাকা ও রংপুর থেকে আনা হচ্ছে ভাল ডাক্তার। এতে অর্থ বেশী ব্যয় হলেও রোগীরা ভাল সেবা পাচ্ছে বলে জানালেন অনেকে।
সৈয়দপুরে প্রায় ৫০টির বেশী ক্লিনিক,ডায়াগনষ্টিক সেন্টার,প্যাথলজী ও বেসরকারী হাসপাতাল রয়েছে। ছোট ছোট অপারেশনসহ বড় ধরনের অপারেশনও হচ্ছে এখানে। অপারেশন করতে টাকাও নেয়া হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় বেশী। এ নিয়েও রয়েছে অনেকের অভিযোগ। অনেক ক্লিনিকে আবার রয়েছে নারী ক্যালেংকারীর ঘটনা।
রোগীর সাথে খারাপ আচরণ।
অভিযোগ রয়েছে এ সবের অনেকের প্রতিষ্ঠানে নেই বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার দক্ষ ডিপ্লোমাধারী টেকনেশিয়ান। সব মিলিয়ে এগুলো চলছে জোড়াতালি দিয়ে। জেলা সিলিভ সার্জনের দেখার দায়িত্ব থাকলেও তিনি অনেকটা নীরব।
কারণ সিভিল সার্জনের সাথে এদের গোপন চুক্তি থাকায় তিনি পাশ কেটে যান। যার ফলে কোনকালে নেই এসকল প্রতিষ্ঠানে অভিযান। মাঝে মধ্যে র্যাব অভিযান চালিয়ে এদের ওষুধ জব্দ করে থাকে।
এ সকল প্রতিষ্ঠানে অল্প বয়সী নারীরা বেশী। তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয় প্রতিদিন। কারো কারো আবার রয়েছে রাতে ডিউটি। ২৪ থন্টা দায়িত্ব পালন করলেও বেতন তেমন একটা বেশী না। যা বেতন দেয়া হয় তাতে কারো কারো সংসারে লেগেই থাকে অভাব অনটন। কর্মরত নারীরা বেতন বৃদ্ধির জন্য দাবি তুললে হারাতে হয় চাকুরী। তাই কষ্ট ও দুঃখ চেঁপে রেখে করতে হয় দায়িত্ব পালন।
সম্প্রতি মহামান্য উচ্চ আদালত অনিবন্ধিত ক্লিনিকগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সৈয়দপুরে একটিও বন্ধ হয়নি। সেবার নামে যারা মানুষ মারার ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলে জানান শহরের সচেতন মহল।
সরকারী নিবন্ধন আছে কি না এ বিষয়ে সৈয়দপুর ক্লিনিক সমিতির সভাপতির সাথে কথা বলতে গেলে তিনিও পাশ কেটে যান। তাই জানা যায়নি সৈয়দপুরে কতগুলো ক্লিনিকের নিবন্ধন আছে আর কতগুলোর নেই।