সরকার দেশব্যাপী খাদ্য শস্য সংগ্রহে কৃষক এবং মিলারদের সুবিধার্থে শুক্রবার এবং শনিবারের সরকারি ছুটি বাতিল করেছে। ২২ মে বাংলাদেশ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রায়হানুল কবীর স্বাক্ষরিত পত্রে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ দিন গুলোতে অফিস খোলা রেখে কৃষকদের কাছ থেকে ধান এবং মিলারদের (চাল এর মিল মালিক) কাছ থেকে চাল সংগ্রহ অব্যাহত রাখা হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ৩৬ টন ধান এবং ২২৬ টন চাল সংগ্রহের খবর জানিয়েছেন। "অশনি"র প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে - এ বছর ঝিকরগাছা উপজেলায় ধান এবং চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ২৭ শ' ১৫ মেট্রিক টন এবং ১৬ শ' ৮ মেট্রিক টন। সরকার নির্ধারিত মূল্য ধান প্রতি কেজি ২৭ টাকা এবং চাল ৪০ টাকা।
শুক্রবার সরেজমিনে উপজেলা খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা গেল - উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রাম থেকে আসা আবদুল হাই ধান নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, আমি ৩ টন ধান নিয়ে এসেছি। অপর জন গদখালী থেকে ধান নিয়ে আসা কৃষক আবদুল ওহাব বলেন, ৭৫ বস্তা ধান নিয়ে এসেছি। সদর ঝিকরগাছা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ৩০০ কেজি ধান নিয়ে এসেছি। এ্যাপসের মাধ্যমে ক্ষুদে বার্তা দিয়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য গুদাম অফিস সূত্র জানায়, এ বছর ধান এবং চাল সংগ্রহ অভিযান ১১ মে এবং ১৭ মে থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্টে শেষ হবে।
উপজেলার ১১ ইউনিয়নের সহ¯্রাধিক কৃষকের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ৯০৫ জন কৃষক স্থান পেয়েছেন। তারা সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান বিক্রি করবেন। পাশাপাশি ১৭ জন চালের মিল মালিক খাদ্য গুদামে সরকার নির্ধারিত পরিমান চাল বিক্রি করবেন।
উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবোধ কুমার পাল বলেন - খাদ্য সংগ্রহে সরকারি টার্গেট পূরণে আশাবাদী। তবে কৃষকেরা পাকা ধান ঘরে তুলতে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সে ক্ষেত্রে ধান সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। শুক্রবার পর্যন্ত ৩৬ টন ধান এবং ২২৬ টন চাল সংগ্রহের খবর জানিয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ জানিয়েছেন - এবার ইরি-বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার ২শ' হেক্টর থাকলেও উৎপাদন হয়েছে ১৮ হাজার ৮৫০ হেক্টর ধান। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া "অশনি"র কারণে পাঁকা ধান ঘরে তুলতে কৃষকেরা অনেক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।