বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ২২টি দোকান পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে। এ অগ্নিকা-ে প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ফায়ারসার্ভিসের শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জের দুটি টিম প্রায় ২ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। বাজারের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী পুলিন বৈদ্যের একারই প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। বাগেরহাট ৪ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন তাৎক্ষণিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ৫০ হাজার টাকা এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত প্রত্যেককে ৫ হাজার করে টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন।
বাগেরহাট ৪ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকরাম হোসেন, উপজেলা আওমীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। শরণখোলা উপজেলায় এতবড় অগ্নিকা- ইতোপূর্বে কখনোই ঘটেনি। অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা দেখেতে শতশত লোক ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। এর ৬ দিন আগে গত ২০ মে উপজেলার বাধাল গ্রামের ইজিবাইক চালক মাসুম বিশ্বাসের বসতঘর অগ্নিকা-ে ভষ্মিভূত হয়। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ লাখ টাকা।
রাজাপুর বাজার কমিটির সভাপতি মইনুল ইসলাম টিপু ও সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন তালুকদার বলেন, এ বাজারে ২২টি দোকান আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় দেড় কোটি টাকা হবে। আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজটি ঝুকিপূর্ণ থাকায় তাৎক্ষণিক ফায়ারসার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌছাতে বেগ পেতে হয়। যে কারণে বেশি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে এবং ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রিজটি ঝুকিপূর্ণ না থাকলে ক্ষতির পরিমান হয়তোবা তিনের এক অংশ হতো। আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানের ক্ষতিগ্রস্থ মালিকরা হচ্ছেন, পাইকারী ব্যবসায়ী পুলিন বৈদ্য, সেলিম, হোসেন হাং, সুমন, বাদল, জসিম উদ্দিন, ভবতোষ, বিল্লাল, মুন্সী, ডাঃ বাদশা, সবুজ, আলমগীর, রিয়াদুল, মুক্তা, আরিফ, আঃ রহমান, মানিক, দুলাল চন্দ্র, মতিয়ার রহমান, আঃ রহিম, মতিউর রহমান মৃধা।
ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাটের উপ সহকারী পরিচালক মোঃ গোলাম ছরোয়ার এ প্রতিনিধিকে জানান, ভোর সোয়া ৫টায় খবর পেয়ে শরণখোলার ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনা স্থলে পৌছে অবস্থার ভয়াবহতা দেখে আমাকে অবহিত করলে আমি তাৎক্ষণিক ভাবে মোড়েলগঞ্জের টিম পাঠিয়ে দিয়ে আমিও ঘটনাস্থলের দ্রুত পৌছাই। প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ না করলে কমপক্ষে আরো প্রায় ৫কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হতো। ঘটনাস্থলে পৌছার রাস্তার ব্রিজ ঝুকিপূর্ণ থাকায় পৌছাতে দেড়ী হয়। ব্রিজগুলো দ্রুত পূণঃনির্মাণ না করা হলে এ ধরনের ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না।
বাগেরহাট ৪ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শণকালে এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। দুঃখ জনক এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের তাৎক্ষনিকভাবে ৫০ হাজার টাকা উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শণকালে এ প্রতিনিধিকে বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে ৫ হাজার টাকা করে প্রদানের ঘোষণা দেন। ফান্ডের অবস্থা ভালো থাকলে বরাদ্ব আরো বেশি দেয়া হবে।