নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে পাচার হওয়া এক স্কুল ছাত্রী অবশেষে ঝিনাইদহ থেকে উদ্ধার হয়েছে। গত ১৯ মে ওই স্কুল ছাত্রী তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামন থেকে পাচার হয়ে যায়।
২১ মে ওই ছাত্রীকে ঝিনাইদহের সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র মাটিলা বিওপি ক্যাম্প এবং ঝিনাইদহের মহেশপুর থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মানব ও শিশু পাচার সংঘবদ্ধ চক্রের জিম্মি দশা থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় আরো ১০ জন সাথে ছিল। অভিযানের বিষয় টের পেয়ে মানব ও শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্য ও পাচার কাজে সহায়তাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। জানা গেছে, উদ্ধার শিক্ষার্থী সৈয়দপুর শহরের কাজীরহাট পানির ট্যাঙ্কি এলাকার জনৈক ব্যবসায়ীর মেয়ে। সে শহরের বিমানবন্দর সড়কের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
ঘটনার দিন গত ১৯ মে বেলা ১১টার দিকে ওই শিশু শিক্ষার্থী প্রতিদিনের মতো তাদের বাসা থেকে স্কুলে যায়। এরপর একটি সক্রিয় মানব ও শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্যরা সুকৌশলে স্কুল গেট থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থীর বাবা সৈয়দপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
শিশুটির বাবা জানান, ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের সুন্দরপুর সীমান্তবর্তী জুবলি এলাকার একটি মেহগনি গাছের বাগানের মধ্যে তার মেয়ে সহ ১১ জন শিশুকে হাত পা বেঁধে ও মুখে টেপ লাগিয়ে আটকে রাখা হয়। রাতেই তাদের সবাইকে সেখানে থেকে ভারতে পাচারের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল পাচারকারী চক্রের। সেখানে সংঘবদ্ধ মানব ও শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্যের পাচার কাজে সহায়তাকারী হিসেবে নারী সদস্যরাও ছিল। কিন্তু অভিযানের বিষয়টি জানতে পেরে সেখান থেকে পাচারকারী সবাই পালিয়ে যায়।