নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল। পার্বতীপুর,চিরিরবন্দর,খানসামা ও নীলফামারী দুরবর্তী হওয়ায় রোগিরা এ হাসপাতালেই সেবা নিতে ভীর জমায়। সেবার মান ভাল থাকায় থাকায় পার্বতীপুর,দিনাজপুর,চিরিরবন্দর,খানসামা ও নীলফামারী হাসপাতালে না গিয়ে রেগিরা চলে আসে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে।
বর্তমানে এ হাসপাতালে দিনদিন বাড়ছে ডায়রিয়া রোগি। ধোপঘাট বটতলী এলাকা থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন হাসিনা বেগম (৫০)। তিনি এখন সুস্থ্য। নতুন বাবু পাড়ার বুসরা ফাতেমা (৩) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। আসায় একদিন হল।
আজিম বয়স ৯ মাস। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শহরের গোলাহাট এলাকা থেকে এসেছে হাসপাতালে। এখন অনেকটা সুস্থ্য। নাসিমা বয়স ১০ মাস। ডায়রিয়া রোগি। সন্ধ্যা রানী (৫০) এসেছেন কিশোরগঞ্জ উপজেলার বগুলাগাড়ী থেকে। ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি ভাল আছেন এমন জানালেন। এদের মধ্যে কেউ একদিনেই ভাল হয়ে বাসায় ফিরছে আবার কেউ দুইদিনে।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ভারপ্রাপ্ত ডাঃ মোঃ ওমেদুল হাসান বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগি। আজ ৩৮ জন ডায়রিয়া রোগি ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শিশুরা বেশী। ৩৮ জনের মধ্যে শিশু ১৯ জন,মহিলা ৯ জন ও পুরুষ ১০ জন। তারা সকলেই ভাল আছেন। হাসপাতাল থেকে দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় ওষুধ। ফলে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তারা সুস্থ্য হয়ে বাসা ফিরছে। উন্নত চিকিৎসা সেবার কারণে কোন ধরনের প্রাণহানির ঘটনা নেই।
আমরা হাসপাতালে সর্বক্ষণ সেবায় নিয়োজিত। ডায়রিয়া রোগিদের ভয়ের কোন কারণ নেই। তিনি জানালেন এর পুর্বে হাসপাতালে প্রায় দেড় শতাধিক ডায়রিয়া রোগি ভর্তি ছিল। আল্লাহর রহমতে সকলেই সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরে গেছে।
মায়েদের একটু অসাবধানতার কারণে শিশুরা ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই আমরা মায়েদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।