চলছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। গাছে গাছে রয়েছে নানা রকম ফলের সমাহার। গাছের ফল পাকতে শুরু হয়েছে। কালীগঞ্জ হাট বাজার গুলোতে রসালো ফল লিচু আসতে শুরু করেছে। এবছর লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করেছিল চাষিরা। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অতিরিক্ত খরাসহ কয়েকদফা কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ থেকে লিচু ঝরে পড়েছে। কিন্তু লিচুর বাজার চাহিদা এবং দামে খুশি বাগান মালিকগণ। বাগান মালিকরা বলছেন, এবার পরিবেশ পক্ষে না থাকায় লিচুর ব্যাপক মুকুল এবং প্রচুর ফল ঝরে পড়েছে। প্রতি বছরই এখানকার চাষিরা লিচু বিক্রি করে লাভবান হয়ে থাকেন। এবছর যে বাগানে ফল রয়েছে তারা লাভবান হচ্ছন। বর্তমান লিচু আঁকার বুঝে ২২০ থেকে ৩০০ টাকা শ’ হিসাবে খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি অফিস ও চাষিরা জানান, বেদানা মোজাফ্ফর, চায়না থ্র্রি ও বোম্বাই, কদম, এলাচি এবং পাতি জাতের লিচু বাগানের আবাদ হয়ে থাকে। এ ছাড়াও বাসাবাড়ির আঙ্গিনায় গাছের লিচুতে অনেকটা পারিবারিক চাহিদা পূরণ করে থাকে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেপারীরা লিচু গাছে রেখেই কিনে বাগান পরিচর্যা করেন। সময় হলে গাছ থেকে লিচু পেড়ে বিক্রি করেন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোহায়মেন আখতার বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৯৫ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে।
কালীগঞ্জ বাসষ্টান্ডে লিচু ব্যবসায়ি মানু মিয়া বলেছেন, বাগান কিনে লিচু বিক্রি করে লাভ করা ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ- ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে, অতিরিক্ত রোদ খরার ঝরে পড়ে যাবে। এছাড়াও যতœ, পাহারার ঝামেলা তো আছেই। এবছর বাগান কিনে অনেক ব্যবসায়ি লোকসানের মুখে। আবার যাদের লাভ হচ্ছে, তা অনেক বেশি। যা কল্পনা করতে পারেনি তারা। তিনি পূর্বে বাগান কিনে ব্যবসায় লোকসান হবার কারণে গত কয়েক বছর ধরে আর বাগান চুক্তি কেনেন না। এবছর বাগান মালিকদের নিকট থেকে পিচ চুক্তিতে লিচু কিনে বিক্রি করছেন। এবছর চাহিদার পাশাপাশি দাম ভালো বলে তিনি জানান।