বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার হুমকি’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যুবদল ও ছাত্রদল। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেন।
পুলিশি বাধার কারণে মিছিল নিয়ে মূল সড়কে যেতে পারেননি নেতাকর্মীরা। পরে দলীয় কার্যালয়ের সমানে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।
শনিবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত পৃথক ভাবে রংপুর জেলা ও মহানগর যুবদল এবং ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এ কর্মসূচিকে ঘিরে নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপির কার্যালয়ের আশপাশে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শুরুতে রংপুর মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুন্নবী চৌধুরী মিলন ও সাধারণ সম্পাদক লিটন পারভেজের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের হয়। এরপর জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক ঝন্টুর নেতৃত্বে নগরীর সালেক পাম্প সংলগ্ন থেকে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল দলীয় কার্যালয়ে এসে প্রবেশ করে।
এতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পরে পুলিশি বাধার মুখে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শেষে প্রতিবাদ সভা করেন মহানগর ও জেলা যুবদল।
সমাবেশে থেকে অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের সকল নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার নেতার মুক্তি দাবি করেন বক্তারা।
পরে একই স্থানে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুর হাসান সুমন ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম জিমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর পর সবশেষ অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান হিজবুল ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ নেওয়াজ জোহাসহ অন্যান্য নেতারা। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে মূল সড়কের দিকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাদের বাক-বিতন্ডা হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোটবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছাকৃতভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া আওয়ামী লীগ নেত্রী জনগণের প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এখন উল্টাপাল্টা বকছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এখন উল্টো তারাই ছাত্রদলের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
রংপুর মহানগর কোতোয়ালী থানার ওসি তদন্ত হোসেন আলী বলেন, তারা মিছিল সমাবেশের জন্য অনুমতি নেয়নি। সড়কে জনভোগান্তি এড়াতে আমরা চেষ্টা করেছি। মিছিল থেকে সড়কে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, এজন্য নেতাদের সতর্ক করা হয়েছে।