স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ
অনুযায়ী শেরপুরে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে শনিবার
(২৮ মে) দিনব্যাপী শেরপুর জেলা জুড়ে অভিয়ান চালিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, অভিযানে জেলা সদরের ৭২টি ক্লিনিক ও
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ২৬টি, শ্রীবরদীতে ৬ টির মধ্যে ৬টি,
ঝিনাইগাতীতে ৫ টির মধ্যে ৩টি, নালিতাবাড়ীতে ১১ টির মধ্যে ৫টি ও
নকলাতে ৭টি মধ্যে ২টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৪২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা
হয়েছে। শেরপুর সদরে বন্ধ ঘোষিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো,
হাজী নিয়ামত উল্লাহ জেনারেল হাসপাতাল, আল বারাকা প্রাইভেট জেনারেল
হাসপাতাল, নিরাপদ জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল, সততা হাসপাতাল প্রাইভেট
লিঃ, সাফা জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল, জননী জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল,
শেরপুর চক্ষু হাসপাতাল এ- ফ্যাকো সেন্টার, একতা স্পেশালাইজড হসপিটাল,
শেরপুর ইবনে সিনা জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল, শেরপুর নিউ লাইফ জেনারেল
হাসপাতাল, আল মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শিরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার,
শেরপুর ইনসাফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নেক্সাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রীন
লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাংলাদেশ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার,
মমতাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার,
খান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আর এইচ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিদ্দিক
ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শাহাজালাল
হেলথকেয়ার প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, দারুস শিফা ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতাল,
ঢাকা ল্যাব বাগবাড়ি, প্রযুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নাজাত
ডায়াগনস্টিক এ- কনসালটেশন সেন্টার নারায়নপুর শেরপুর
সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, জেলায় ২৮টি ক্লিনিক ও ১১১টি
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন থেকে কার্যক্রম
পরিচালনা করায় অনেক মালিক পক্ষ লাইসেন্স নবায়ন করেননি। তাই জেলায় মোট
৪২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বাকিগুলোকে শর্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ প্রস্তুত করে ১৫ দিনের মধ্যে
আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।