নির্বাচনী কার্যালয় ও সমর্থকদের উপর হামলা ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে নোয়াখালীর সেনবাগে সংবাদ সম্মেলন করেছে কেশারপাড় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক ভূঁইয়া। রোববার রাতে কেশারপাড়স্থ তার নিজ বাড়িতে ওই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আবু বকর ছিদ্দিক ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, রোববার সকালে তিনি নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় তার প্রতিদ্বন্ধী নৌকার প্রার্থী বেলাল ভূঁইয়ার সমর্তকরা কেশারপাড় ক্লাবঘর নামক স্থানে থার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালায় এবং তার কয়েকজন সমর্থককে মারধর করে। হামলার খভল পেয়ে তার ছেলে তাদের জিজ্ঞেস করতে গেলে বেলাল ভূঁইয়া কর্ম ও সমর্থকরা তার তিন ছেলেকেও মেরে আহত করে।
হামলার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসলে আমার শতশত সমর্থক গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।এরপর তিনি গ্রামবাসীদের নিয়ে নিজ বাড়ির দরজা সংলগ্ন দমদমা বাজারে অবস্থান নেন। এ সময় কয়েকটি মোটর সাইকেল নিয়ে নৌকার প্রার্থী বেলাল ভূঁইয়ার ছেলে আরো কয়েকজনকে নিয়ে বাজারের দিকে আসতে থাকে, এ সময় বাজারে বিপুল সংখ্যক লোকজন দেখে তারা বিনা কারণে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বেলাল ভূঁইয়া আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। এ ছাড়া তারা মোাবইলফোন সহ নানা ভাবে আমাকে নির্বাচন থেকে সেরে যাবার জন্য হত্যার হুমকি ,আমার ছেলেদের ও কর্মী সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে এবং প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আমার সমর্থকদের উপর হামলার চেষ্টা করছে। তিনি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় নির্বাচন কমিশন,রিটার্নিং অফিসার ওপ্রশাসনের সহযোগিতায় কামনা করেন।
এ সময় তিনি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন গুলোতে নির্বাচন না থাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে জানিয়ে প্রত্যেকটি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দেয়ার দাবি জানান।এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে এখন থেকেই পুলিশি টহল দেয়ার ও দাবি জানান।