এখানে কোনো চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। অথচ বিশেজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে করা হতো চোখের সব চিকিৎসা। নিবন্ধন ও কোনোধরনের বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি এতোদিন চিকিৎসাসেবার নামে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিত।
রোববার বিকালে অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের আখাউড়া চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র নামে এমন একটি অবৈধ প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটি প্রতি সপ্তাহে এলাকায় মাইকিং করে এখানে বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক দ্বারা চোখের চিকিৎসা করা হয়। অথচ সবই ছিল তাদের প্রতারণা। এখানে শুধু কয়েকজন ডিপ্লোমাধারী ছিল। তারা চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরিচয় দিত। আর চিকিৎসাসেবার নামে শুধু টাকার বাণিজ্য করতো। সাধারণ মানুষ তাদের কথা বিশ্বাস করে এতোদিন প্রতারিত হচ্ছিল।
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্ব প্রতিপালন করতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নিবন্ধন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় পৌরশহরের কলেজ পাড়ার ‘আখাউড়া চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র’ নামের একটি অবৈধ প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দেয়া হয়।এসময় অনেক ক্লিনিককে নিয়ম মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করারও নিদের্শ দেওয়া হয়। তাছাড়া অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ক্লিনিকগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ হিমেল খান বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সুপারভিশন ও মনিটরিংয়ের বিষয়ে ২৫ মে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভার কার্যবিবরণী মোতাবেক পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে আখাউড়ায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিনি আরো বলেন, বৈধ কাগজপত্র ও নিবন্ধন না থাকায় আখাউড়া চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র নামে
একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমাদেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।