বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তাগাছা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়। দুপুরে নন্দীবাড়ী মরহুম রেজুন সাহেবের ধানের খলায় চিত্র প্রদর্শনীয় উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ দঃ জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জাকির হোসেন বাবলু। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবীবুর রহমান খান রতনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এমপি অ্যাডভোকেট আবুরেজা ফজলুল হক বাবলু। প্রধান বক্তা ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র মোঃ শহিদুল ইসলাম। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ.কে.এম জাহাঙ্গীর হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেবু, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মুর্শিদুজ্জামান সাইফুল, হাবীবুর রহমান মঞ্জু, হাবীবুর রহমান হবি। মতিউর রহমান খোকন, আরিফ রব্বানী, টুটুল, এটিএম ইলিয়াছ, ফারুক আহম্মেদ খোকা, আনোয়ারুল আজিম সেলিম, সাইদুর রহমান ফরাজী, সিরাজুল হক প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি জাকির হোসেন বাবলু বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আর্বিভাব ঘটে ১৯৭১ সালে দেশের জনগন যখন পাকিস্তানী হানাদারদের আক্রমনে বেসামাল তখন চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনায় জনগন উজ্জীবিত হয়ে দেশ মাতৃকার রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেন। পরবর্তীতে একদলীয় শাসন আমলের পর ৩ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে এদেশের আপাময় জনতার সমর্থনে তিনি ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে আসেন। ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি হয়ে তিনি তার ১৯ কর্মসূচি ঘোষনা ও বাস্তবায়নের লক্ষে ছুটে বেরিয়েছেন গ্রাম থেকে গ্রামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যেয়ে তিনি ছিলেন নিবেদিত। ১৯৮১ সালের ৩০ মে শাহাদাত বরন করার পর বাংলার আকাশ যেন স্তদ্ধ হয়ে যায়। তার জানায়ায় ঐ সময়ে ২০ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি প্রমান করে তিনিই সর্বকালের মহানায়ক ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাকির হোসেন বাবলু ৩০ মে শোকের দিনে শোক কে শক্তিতে পরিনত করে সকলকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে, আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শেষে আগত ৫ হাজার মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।