বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রদলের কর্মীদের উপর রোববার দুপুর থেকে রাত অবধি দফায় দফায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্বে। এই হামলায় ৪ ছাত্রদল কর্মী আহত হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ জানান, ,রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ভাবে পুলিশের নিরাপত্তার মধ্য আমরা শেষ করি। বেলা ১২ টার দিকে হঠাৎ করে ছাত্রদল নেতা,জয়নাল আবেদিনের উপর ছাত্রলীগ কর্মীরা হামরা করে।
এরপর পর্যায়ক্রমে রাত পর্যন্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা পাথরঘাটা বাজারে ছাত্রদলের কর্মীদের খুঁজতে থাকে। এ সময় তারা ছাত্রদল নেতা,মাসুম বিল্লাহ,রাসেল এবং ইমামের উপর হামলা করে গুরুত্বর আহত করে। তারা পাথরঘাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন,এদের মধ্য ইমাম হোসেনের মাথায় গুরুত্বর জখম বলে তিনি বলেন।
ছাত্রদল আহবায়ক, বলেন, আমরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রদল কর্মী, ইমাম হোসেন বলেন,রোববার সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী, মাহমুদ, নাসির,বাবু সহ ১৫-২০ জন আমাকে বাসার সামনে থেকে ধরে এনে আওয়ামীলিগ অফিসের ভিতরে আটকে নির্যাতন করে।আমার মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত আহত করেছে।
থানায় কোন অভিযোগ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইমাম হোসেন বলেন,থানায় অভিযোগ দিতে গেলে উল্টো আমাদের আটকে দেবে,মামলা করে কি হবে?আইনতো তাদের হাতে।
ছাত্রদল কর্মীদের উপর ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি,অলিদ মক্কী বলেন,এই অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। আমরা ব্যাস্ত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রর নিয়ে। বিএনপির স্হানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ছাত্রদল কর্মীরা নিজেদের বিরোধ আমাদের উপর চাপাতে চাচ্ছে। পাথরঘাটায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজনীতি করার দাবী করে ছাত্রলীগ সভাপতি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আবুল বাশার বলেন,,রোববার আমি নিজে উপস্হিত থেকে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে নিরাপত্তার ব্যাবস্হা করেছি। শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়েছে। ছাত্রদল কর্মীদের উপর হামলা ও আহত হবার বিষয় তিনি বলেন,এব্যাপারে কিছু শুনিনি বা থানায় কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্হা নেয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।