শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছে। রোববার (২৯ মে) বিকেলে ও সন্ধ্যায় পৃথক পৃথক স্থানে ওইসব সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমড়ী গ্রামের তানাত উল্লাহর ছেলে দুলাল মিয়া (২২) ও নকলা শহরের বাসিন্দা, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য রফিকুল ইসলামের ছেলে খালিদ আহমেদ পলক (১৭)। এ ছাড়া আহতরা হলেন সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমড়ী গ্রামের ইছাহাক আলীর ছেলে রমজান আলী (৫০) ও আব্দুল আজিজের ছেলে মো. আজম আলী (২৫)। আহত রমজানকে গুরুতর অবস্থায়
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ট করা হয়েছে।
জানা যায়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি থেকে ঝিনাইগাতীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলো দুলাল মিয়া, রমজান আলী ও আজম আলী। ওইসময় উপজেলার কোয়ারীরোড এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাথা থেতলে গিয়ে মারা যায় চালক দুলাল মিয়া। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রমজান আলীকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ রেফার্ট করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হলেও এর চালক পালিয়ে গেছে
এছাড়া একইদিন সন্ধ্যায় নকলা শহরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় খালিদ আহমেদ পলক গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার্ট করেন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে মারা যায় সে। পলক ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।