পুত্র সন্তান না হওয়ায় স্বামীর নির্যাতনে পারভীন বেগম নামের তিন সন্তানের এক জননী মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার আন্ধারমানিক গ্রামের।
নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হলে স্বামী ও বাবার পরিবারের লোকজনে গৃহবধূর লাশ নিয়ে টানা হেচড়া শুরু করেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষে নিহতের দুই ভাইসহ চারজন আহত হয়েছে।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে কাজীরহাট থানার ওসি মোঃ জুবায়ের আহমেদ জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। ওসি আরও জানান, নিহত পারভীন বেগম (৩৫) আন্ধারমানিক গ্রামের মানিক সিকদারের মেয়ে ও একই এলাকার আকতার সরদারের স্ত্রী।
মঙ্গলবার সকালে নিহতের ভাই রিয়াজ সিকদার জানান, পুত্র সন্তান না হওয়া এবং পাকাঘর নির্মাণের জন্য বাড়ি থেকে টাকা এনে না দেয়ার অযুহাতে প্রায়ই পারভীনের ওপর নির্যাতন চালানো হতো।
পারভীনের মা কল্পনা বেগম জানান, পরপর তিনটি কন্যাসন্তান জন্ম দেয়ায় পারভীনের ওপর তার স্বামী অসন্তুষ্ট হন। পরে নানানভাবে নির্যাতন চালাতে শুরু করে। এর জেরধরে গত ২৬ মে পারভীন ও তিন কন্যা সন্তানের ভরণপোষন দিতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেয় আকতার সরদার। এর প্রতিবাদ করায় পারভীনকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এরপর রোববার বিকেলে পূর্ণরায় নির্যাতনে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পরলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনে পারভীনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আনার পথে পারভীন মৃত্যুবরন করেন।
নিহতের বাবা মানিক সিকদার বলেন, পারভীনের মৃত্যুর পর পরই আকতার সরদার আত্মগোপন করেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।