রংপুরের পীরগাছায় বাড়ির পাশে বাড়ি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক কৃষকের শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠছে প্রতিবেশি মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে। গত সোমবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার পশ্চিম ব্রাক্ষণীকুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মোখলেছুর রহমানকে বাঁধা দিতে গিয়ে দুইজন আহত হন। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার পীরগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম ২০১৯ সালে চাঁন মিয়া ও মোর্শেদা বেগমের নিকট থেকে ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার দলিল নং-৪৮৩২, ক্রমিক নং-৪৮৪৪, বহি নং-০১। জমিটি বিবাদী মোখলেছুর রহমানের বাড়ির পাশে অবস্থিত। সম্প্রতি রবিউল ইসলাম ওই স্থানে একটি নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে থাকেন। এ কারণে মোখলেছুর রহমান প্রায় রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রীকে মেরে ফেলার এবং নতুন বাড়ি ও গাছপালা কেটে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত সোমবার রাত ১০ টার দিকে মোখলেছুর রহমান ও অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি রাতের আঁধারে রবিউল ইসলামের নির্মাণধীন বাড়ির চারপাশে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ কেটে ফেলেন এবং গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় বাঁধা দিলে গেলে রবিউল ইসলামের স্ত্রীসহ দুই ব্যক্তি আহত হন। রাতেই গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে মোখলেছুর রহমান কৌশলে পালিয়ে যান। এতে করে রবিউল ইসলামের প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
গ্রামবাসী আবুল বাশার ও আবদুর জব্বার বলেন, এ জমির সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। অহেতুক মোখলেছুর রহমান এসব গাছপালা কেটে গ্রামে ঝামেলা সৃষ্টি করছে।
ক্ষতিগ্রস্থ রবিউল ইসলাম বলেন, আমি জমি কিনেছি অনেক দিন আগে। দলিলও বের হয়েছে। কোন কারণ ছাড়াই মোখলেছুর রহমান আমার শতাধিক গাছ কেটে সাবার করে ফেলেছে। তার বাড়ির পাশে জমি কিনে বাড়ি করায় আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে মোখলেছুর রহমান।
এ বিষয়ে জানতে মোখলেছুর রহমানের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রীও এ বিষয়ে কিছু বলতে চান না।
পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক আবদুল মালেক গাছ কাটার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।