খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে দুই শিশু সন্তানকে খাওয়ানোর পর নিজেও সেই খাবার খেয়ে আত্মহত্যা করেন মাছুরা বেগম (৩০) নামের এক নারী। বিষক্রিয়ার মারা যায় দুই শিশু সন্তান হলো মারুফ (৪) ও ফারুক (৬)। ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ এপ্রিল’২২ তারিখে পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাশর্^ডাঙ্গা ইউনিয়নের রাউৎকান্দি গ্রামে। তিনজনকে মূমুর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা ও দুই শিশু সন্তান মারা যায়। মাছুরার স্বামী ওই গ্রামের আঃ মমিন। এঘটনার ৩৭ দিন পর বুধবার (১ জুন) নিহত গৃহবধূ মাছুরার মা উপজেলার পাশর্^ডাঙ্গা ইউনিয়নের সজনাই গ্রামের বিশু সরদারের স্ত্রী নাজমা বেগম (৫২) চাটমোহর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মেয়ে জামাই আঃ মমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং ১/২২। পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহত দুই সন্তানের পিতা ও মাছুরার স্বামী রাউৎকান্দি গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে আঃ মমিনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে,পারিবারিক কলহের কারণে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল আঃ মমিন তার স্ত্রী মাছুরা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গাীলগালাজ করাসহ তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেন। এরই জের ধরে ওই দিন সন্ধ্যায় খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে মাছুরা তার দুই শিশু সন্তান মারুফ ও ফারুককে খাওয়ায় ও নিজেও সেই খাবার খায়। তিনজনই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে মারুফ এবং একদিন পর ফারুক ও মাছুরা মারা যায়। এলাকাবাসী জানান,আঃ মমিন সপরিবারে ঢাকায় কাজ করতো। ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে এসেছিলেন। ঝগড়ার জের ধরে এ ঘটনা ঘটায় গৃহবধূ মাছুরা খাতুন।
ঘটনার পরপরই সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, চাটমোহরের প্রতান্ত গ্রাম রাউৎকান্দি। স্বামী ও স্ত্রী ঢাকায় কাজ করেন,ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে এসেছিলেন। এরপর এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ মাছুরার মা বুধবার (১ জুন) সকালে থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি মাছুরার স্বামী আঃ মমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।