কি নেই,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের এজেন্ট, ভোট গ্রহণের বুথ, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয় ভোটাররা। আর এ সবই করেছে খুদে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার ( ২ জুন) সারাদেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিক্ষাজীবনের প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্রের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে শিক্ষকদের সহায়তা করা, দক্ষ নেতা ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই এ নির্বাচনের মূল লক্ষ্য বলে জানা যায়।
সকালে উপজেলার ৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর একটায়।
পৌরশহরের দেবগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রত্যক্ষ করে দেখা যায়,
ভোটারদের দীর্ঘলাইন। জাতীয় নির্বাচনের মতো খুদে শিক্ষার্থীরা
পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে আনসার বাহিনী সবাই ভোট কেন্দ্রে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছে।
মনে হয়ে ভোটারদের উপস্থিতি প্রায় ৯৫ ভাগ। তাদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনা।
কথা হয় নির্বাচনে পদপ্রার্থী কয়েকজন খুদে শিক্ষার্থীর সাথে। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ওরা কী করবে, তা নিয়ে তাদের ভাবনা ছিল মুগ্ধ করার মতো।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মৌসুমী আক্তার বলেন,
স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিবে। গণতন্ত্রের শিক্ষা লাভের পাশাপাশি তারা ভবিষ্যৎ সুযোগ্য নেতা হিসেবে গড়ে ওঠার প্রাথমিক গুণাবলি অর্জন করবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান বলেন, ২০১১ সাল থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দেশব্যাপী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আমাদের উপজেলার বিদ্যালয়গুলিতে একযোগে নির্বাচন হয়েছে। তিনি তিনি আরো বলেন
এ নির্বাচনে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সাতটি পদে নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীরা ভোট দেন।