রংপুরের পীরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষন মামলার প্রধান আসামি পার্থকে পুলিশ গত বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে। সে পলাশবাড়ি উপজেলার বড় শিমুলবাড়ি গ্রামের মানিক চন্দ্রের পুত্র। উল্লেখ্য,উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের মিঠিপুর গ্রামের হিন্দুপাড়া (হাইমারী) নামক গ্রামের বাসীন্দা সুনীল চন্দ্রের স্কুল পড়-য়া মেয়ে রানী(ছদ্মনাম)কে নিকটাতœীয় পলাশবাড়ি উপজেলার বড় শিমুলবাড়ী গ্রামের মানিক চন্দ্রের পুত্র পার্থ চন্দ্র বেড়াতে যাবার নাম করে গত ৩০ মে সোমবার বিকেলে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। রাতভর মেয়েটিকে ধর্ষন করে ভোর পাঁচটার সময় পুনরায় মোটর সাইকেলযোগে রানীকে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে আসে। মোটরসাইকেল থেকে নামতেই রানী চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী ধর্ষক পার্থকে আটক করে। দিনভর আটক রাখার পর স্থানীয় এন নেতা মোটা অংকের বিনিময়ে পার্থকে কৌশলে ছেড়ে দেয়। এদিকে পার্থ’র মোটরসাইকেলটি মিঠিপুর ইউনিয়নের চৌকিদাররা ইউপি কার্যালয়ে আটক করে রাখলেও সেখান থেকে রাতারাতি হাওয়া হয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে,সংশ্লিষ্ট ইউিিপ চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন নগদ নারায়নের বিনিময়ে সকলের অগোচরে মোটর সাইকেলটি হস্তান্তর করেছেন। ধর্ষিতার অসহায় দরিদ্র পিতা সুনিল থানা পুলিশের শরনাপন্ন হন। পীরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আউয়াল জানান,গত বুধবার রাতে পার্থকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে সে জেল হাজোতে।