ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতিদ্বন্দি স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করায় নৌকার মনোনীত প্রার্থীী আবদুল খালেকের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১৫ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের পূর্ব নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।তবে গনমাধ্যমের কাছে ঝিনাইদহে নৌকা প্রতিকের মেয়র প্রার্থী আবদুল খালেক বলেন, আমার বিরদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এ ঘটনার সাথে একেবারেই সম্পৃক্ত না। আমি কিছুই জানি না বা আমার কোন কর্মী সমর্থকও জড়িত না।তিনি আরো বলেন, আমি আইনের আশ্রয় নেব। আইনি লড়াইয়ে যা ভালো হয় তাই করবো।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রঙ্গাপন জারির মাধ্যমে আবুল খালেকের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে।ইসির যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর প্রচার অভিযানে বাধা প্রদান করে এবং প্রচারে হামলা চালিয়ে তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাদের হামলায় হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ূম শাহরিয়ার জাহেদী, প্রার্থীর ভাই আবু শাহরিয়ার জাহেদীসহ ৫ জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেওয়া আবদুল খালেকের সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে। আক্রান্ত প্রার্থীর অভিযোগের তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আবদুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।ইসির প্রঙ্গাপনে বলা হয়েছে মো. আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখা চাওয়া হলে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু গত ২৯ মে ঝিনাইদহ জেলার শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনে একজন নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে সকল প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার গ্রহন করেন।এরপরও মো. আবদুল খালেকের সমর্ধকরা গত ১ জুন অপর প্রার্থী মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী ও তার সমর্থকগণকে আক্রমণ করে আহত করেন। যা বিভিন্ন পত্রিকা ও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওতে প্রকাশ পায়।