ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের গোডাউন থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৭ বস্তা মূল খাতা ও লুজ সিট চুরির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার সিআইডি’র পরিদর্শক আতিয়ার রহমান সরজমিন কলেজ পরিদর্শন করে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা নেন। এ সময় নমুনা হিসেবে কিছু আলামত জব্দ করেন। সিআইডি’র তদন্ত দল কলেজ পরিদর্শনকালে খাতা চুরির বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে সত্য মনে করছেন। এ সময় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ই মে কালীগঞ্জ আমলী আদালতে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান খাতা চুরির মামলাটি করেন, যার পিটিশন মামলা নং-৫৩/২২। মামলার আসামি করা হয় সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখার সাচিবিক বিদ্যা বিভাগের সরকারি অধ্যাপক ফয়লা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে রকিবুল ইসলাম মিল্টন ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত ওয়াজেদ মন্ডলের ছেলে আবদুল মজিদ মন্ডল। মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখার বোর্ড পরীক্ষার পর অবশিষ্ট মূল খাতা ও লুজ সিট চুরি করে বিক্রি করে দেন। খাতা চুরির ঘটনা জানার পরও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বরং ঘটনাটি ধামাচাপা দেন।
এদিকে, সিআইডির পরিদর্শক আতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিকালে বলেন, কলেজ পরিদর্শন করে আমি সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে খাতা চুরির অভিযোগটি সত্য বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন তো আর ৭ বস্তা চুরি হওয়া খাতা উদ্ধার সম্ভব নয়। তবে খাতার নমুনা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক যথাসময়ে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে।