চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার ৯ নং মোহাম্মদপুর ওয়াডের আজিজ উল্ল্যা মুন্সির বাড়ির মরহুম আবদুস সবুর প্রকাশ ডুবাই সবুরের ঘরে শনিবার ভোর রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকা-ে পক্ষাঘাত গ্রস্হ মোহাম্মদ ফোরকান (৪৫) পিতা মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যাক্তি আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। তাছাড়া নববিবাহিত মধ্যপ্রাচ্যের ওমান প্রবাসী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন নামে এক ব্যাক্তির পাসপোর্ট ভিসা আগুনে পুড়ে গেছে। অগ্নিকা-ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রাথমিক ভাবে ১৫ লক্ষাধীক টাকা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সংবাদ পেয়ে হাটহাজারী থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। বৈদ্যূতিক শর্ট সার্কেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্হানীয়, প্রত্যক্ষদর্শী, অগ্নিদূর্গতদের পারিবারিক ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার আনুমান ভোর রাতের দিকে হাটহাজারী পৌরসভার ৯ নং মোহাম্মদপুর ওয়াডের আজিজ উল্ল্যা মুন্সির বাড়ির আবদুস সবুর প্রকাশ ডুবাই সবুরের বাড়িতে হঠাৎ অগ্নিকান্ডের সূত্র হয়ে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার সংবাদ হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করে। ততক্ষণে ঘরের ভিতরে থাকা প্যরালাইসিস আক্রান্ত তিন সন্তানের জনক মোহাম্মদ ফোরকান আগুনে পুড়ে মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ফোরকান নাঙ্গলমোড়া নিহত ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীর পুত্র। তার বাড়ি উপজেলার নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নে হলে ও অসুস্থ হওয়ার পর তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে থাকত। আগুনে মধ্য প্রাচ্যে কর্মরত রেমিটেন্স যোদ্ধা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এর ভিসা পাসপোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি মধ্য প্রাচ্য থেকে এসে গত ২৯ মে বিবাহ করেছে। ভাগ্যভাল যে তার মোঃজমির উদ্দিন নামে আরেক এক ভাই যিনি রোববার মধ্য প্রাচ্যের তার কর্মস্হলে চলে যাওয়ার কথা তিনি তার ভিসা পাসপোর্ট নিয়ে ঘরের বেড় হয়ে গিয়েছিল বলে তাঁর কাগজপত্র আগুনের হাত থেকে রক্ষা পায়। আগুনে একটি মোটর সাইকেল, স্বর্নালংকার, নগদ অর্থ, আসবাবপত্র ফ্রিজ, মূল্যবান মালামাল পুড়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রথমিক ভাবে ১৫ লক্ষাধীক টাকা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মরহুম আবদুস সবুরের ছয় পুত্র যথাক্রমে মোঃ মঞ্জুরুল আলম, ফরিদ আহম্মদ, মাছন আলী, জমির উদ্দিন, সদ্য বিবাহিত মোঃ সালাউদ্দিন রহিম উদ্দিন ছয় ছেলে, তার স্ত্রী মাহফুজা খাতুন, মেয়ে জামাই প্যারালাইস্ট রোগী মোঃ ফোরকান স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সেখানে থাকত।
অগ্নিদুর্গত পরিবারের সদস্য মোঃ মঞ্জুরুল আলম জানান, শনিবার ভোর রাতে হঠাৎ বাড়িতে আগুনের সূত্রপাত হয়ে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। ফায়ার সার্ভিসের নম্বর না থাকায় তিনি তার নিজস্ব বাহন মোটরসাইকেল নিয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের দপ্তরে গিয়ে আগুন লাগার সংবাদ জানালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তিনি আগুনে ১৫ লক্ষাধীক টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করেন। তার জমির উদ্দিন নামে এক ভাই রোববার মধ্যপ্রাচ্যের কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা ও আলাপকালে গণমাধ্যমকে জানান। তবে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শাহাজাহান ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তিন লাখ টাকার মত বলে গনমাধ্যমকে জানান। আংশিক পাকা ছাদের ঘর ও আংশিক পাকা দেওয়ালের টিন ছাউনির মরহুম আবদুস সবুরের পরিবারের ১৭ সদস্য বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে হাটহাজারী থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। বৈদ্যূতিক শর্ট সার্কেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।