গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কমিটি দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে অসাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে কেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়ে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জেলা ছাত্রলীগের জরুরি সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করে এ নির্দেশনার দেওয়া হয়েছে। এরপর নড়েচড়ে বসেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। প্রয়োজনে শুধরে নেওয়া হবে বলে দাবি করা হয়।
সোমবার রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি লেখা দলীয় প্যাডে ছয়টি কমিটি ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক। সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ দু’টি কমিটিতে আপত্তি তুলেছে।
আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবউদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারন সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন নয়ন এক বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলার ধরখার, মনিয়ন্দ, উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন এবং পৌর ও শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। আগামী তিনমাসের এসব কমিটি ঘোষণার কথা বলা হয়।
ছাত্রলীগকে গতিশীল করার লক্ষ্যে এসব কমিটি ঘোষণা করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। পৌর কমিটিতে নাইমুর রহমান রনি, কলেজ কমিটিতে আবু বক্কর আজমাইন, উত্তর ইউনিয়নে মোস্তাক ভূইয়া শাওন, দক্ষিণে নাঈম হাসান নীর, মনিয়নন্দে মশিউর রহমান রিমন, ধরখারে শাফায়েত রবিনকে আহ্বায়ক করা হয়। এসব কমিটির পরিধি ২৫ থেকে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয়রা যখন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ট্রাজেডিতে সেবামূলক কাজে ব্যস্ত ঠিক ওই সময়টাতে কমিটি ঘোষণার বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। তবে ছাত্রলীগের কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলে কিছু বলতে চাননি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, ‘১ম শ্রেণির পৌরসভা ও সরকারি কলেজ কমিটির দেওয়ার এখতিয়ার উপজেলা কমিটির নেই। এ দু’টি কমিটি উপজেলা সম মর্যাদার। অসাংগঠনিকভাবে দু’টি কমিটি দেওয়ায় আমরা আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে কারণ দর্শাতে বলেছি। যদি যথাযথ জবাব না পাওয়া যায় তাহলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবউদ্দিন বেগ শাপলু সোমবার দুপুরে বলেন, ‘আমরা গঠনতন্ত্র মোতাবেক কমিটি দিয়েছি। আমি যতদূর জানি পৌর ও কলেজ শাখাকে জেলার আওতাধীন করতে কেন্দ্রের অনুমতি নেয়নি জেলা। যে কারণে এ দু’টি ইউনিট আমাদের অধীনে। এর পরও যদি গঠনতন্ত্রের বাইওে কিছু হয়ে থাকে তাহলে আমরা সেটা শুধরে নিবো।’