চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে মৃত ফায়ার সার্ভিসকর্মী রমজানুল ইসলাম রনির (২২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরপুর সদরে নিজ গ্রাম হেরুয়া বালুরঘাটে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় হাজারও মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৬ টায় চট্টগ্রাম থেকে নিজ বাড়িতে লাশ পৌঁছায়।
চাচা আবুল কাশেম বলেন, চার ভাইবোনের মধ্যে বড় রনি। প্রায় দেড় বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে চাকরি হয়। ছোট ভাই তারিকুল ইসলাম রকিবকে ময়মনসিংহে রেখে পড়াশোনা করাতো। বোন আশামণি নবম শ্রেণিতে ও ছোট বোন আঁখিমণি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তাদের লেখাপড়াসহ পরিবারের সব খরচ চালাতো রনি। তিন মাস আগে সীতাকু-ে বদলি হয়ে সেখানেই স্ত্রীসহ বসবাস করছিল। তার এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ছয় মাস আগে শেরপুরের শ্রীবরদী থানার জালকাটা গ্রামের রুপা বেগমের সঙ্গে রমজানুল ইসলাম রনি বিয়ে হয়। স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ রুপা।
এদিকে বিচারাধীন একটি মামলায় শেরপুর জেলহাজতে থাকা রনির বাবা আকরাম হোসেন আঙ্গুরের পক্ষে সোমবার (৬ জুন) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। বিচারক আবদুর সবুর মিনা সাত দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু এ তথ্য জানিয়েছেন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমদ জানান, সাড়ে ১০টার পর নিজ বাড়ির আঙিনায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে রনির দাফন সম্পন্ন হয়ে হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনায় কেন্দ্রীয় জেলখানায় বন্দি তার বাবাকে আদালত সাত দিনের জামিন দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়েছেন।