বগুড়ার নন্দীগ্রামে জয় বাংলা স্লোগানের বিরোধীতা করায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল আশরাফ জিন্নাহকে শোকজ করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,পত্রপ্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত ১ জুন নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সভায় বক্তৃতা শেষে ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ না বলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবি প্রতিবাদ করে। তার প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম কামাল, জয় বাংলা স্লোগান না বললে কি জেল-জরিমানা হবে ? এই মর্মে মন্তব্য করে। এরপর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ তাদের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলতে থাকে, জয় বাংলা বলতেই হবে এমন কোন প্রজ্ঞাপন কি জারি হয়েছে? কথপোকথনের একপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদ্বয়ের সমর্থনে রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে এবং অশোভন আচরণ করে। তার এই আচরণ দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণœ ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল বলে সংগঠন মনে করে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৪ জুন নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যৌথ বর্ধিত সভায় রেজাউল আশরাফ জিন্নাহর বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এমতাবস্থায় কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে পত্রপ্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং এ-সংক্রান্ত পত্র গত ৮ জুন প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান।
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবি বলেন, দুই ইউপি চেয়ারম্যান বক্তব্য শেষে জয়বাংলা স্লোগান না দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান জিন্নাহ ‘জয়বাংলা’ স্লোগানের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় উপস্থিত দলীয় নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ করেছে। জয়বাংলা জাতীয় স্লোগান, মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। যারা জয়বাংলা বলতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে তারা পাকিস্তানি চেতনায় বিশ^াসী।
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ শোকজ পত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক নোংরা, ক্রিমিনাল। তাদের যা করার করুক। আমি শোকজের উত্তর দিবনা।