গাজীপুরর কাপাসিয়ার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঘিঘাট গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজন জোরপূর্বক প্রবাসী সাইফুল ইসলামের ২২টি ফলজ ও বনজ গাছ কেটে নেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে মানববন্ধন করেছেন তার স্বজন ও এলাকাবাসী। উপজেলার তারাগঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় ওই প্রভাবশালী মহলের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তারা।
এ বিষয় সাইফুলের ভগ্নিপতি আশরাফউদ্দিন ফকির বাদী হয় গত ২৮ মে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে দশ জনের বিরুদ্ধ মামলা (নং ৩৭৪/২০২২) করেছেন।
জানা যায়, সৌদি আরব প্রবাসী সাইফুল ইসলামের অন্যান্য ছয় বোনের বিয়ে হয় যাওয়ায় তার বাড়িতে বর্তমানে কেউ বসবাস করেন না। তার স্ত্রী সাতক্ষীরা জেলার একটি কলেজে শিক্ষকতা করার কারণে তিনিও কর্মস্থলে অবস্থান করছেন। এই সুযোগে প্রতিপক্ষের লোকজন গত ১৮ ও ১৯ মে সাইফুল ইসলামের বাড়ির পাশ থেকে ২২ টি আম, জাম ও মেহগিনি গাছ কেটে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তার ভগ্নিপতি আশরাফউদ্দিন ফকির ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে গাছ কাটার অভিযাগে দশ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করন। অভিযুক্তরা হলেন, প্রতিবেশি এ কে এম বোরহান উদ্দিন, মোঃ মাসুম সরকার, আতাউর রহমান, মোঃ. জামাল উদ্দিন, আবদুর রশিদ, মোঃ আসাদুল্লাহ, মোঃ মাহফুজ, মোঃ মাসুদ, মোঃ দুলাল ও মোঃ শহীদুল্লাহ।
শুক্রবার প্রায় অর্ধ শতাধিক লোকের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রতিবেশি মোঃ হানিফ হাসান বলেন, সাইফুল ইসলামের প্রতিবেশি লন্ডন প্রবাসী মোঃ সালাহ উদ্দিনের বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা প্রশস্ত করতে এবং তার বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে মাসুদের নেতৃত্বে মূল্যবান গাছগুলি জোরপূর্বক কেটে নিয়ে গেছেন। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। এ সময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন আশরাফউদ্দিন ফকির, আনোয়ার হাসান খন্দকার, মোঃ শফিউদ্দিন প্রমুখ।
এ বিষয় প্রধান অভিযুক্ত মাসুদ গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তা কিনে নিয়েছেন বলে দাবি করেন। কার কাছ থেকে কিনেছেন তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এ বিষয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ ওয়াহাব খান খোকা জানান, যে গাছগুলো কেটে নেওয়া হয়েছে তা সাইফুল ইসলামের। তার লোকজন বাড়িতে নেই, তাদের অনুপস্থিতিতে গাছ কেটে নেয়া অন্যায় হয়েছে। এ বিষয়ে আদালত আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।