গাজীপুরের টঙ্গীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশাকে (রা.) নিয়ে ভারতে বিজেপি নেতাদের কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে টঙ্গী তৌহিদী জনতা। এ সময় ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত মজলিশ, ইসলামি ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি দল প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেয়।
শুক্রবার বাদ জুমা টঙ্গী বাজার, আরিচপুর, মরকুন, শিলমুন, মাছিমপুর, মধুমিতা, দত্তপাড়া, গাজীপুরা, সাতাইশ, খাঁ-পাড়া, দক্ষিণ আউচপাড়া, বড়দেওড়া, হোসেন মার্কেট, মোক্তারবাড়ি, কলেজরোডসহ প্রায় সকল মসজিদ থেকে খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কলেজগেট ও স্টেশন রোড এলাকায় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন মুসল্লিরা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন গাজীপুর জেলা হেফাজতে ইসলামীর আমীর ও টঙ্গী দারুল উলূম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মাসউদ-উল করিম, মাওলানা ইকবাল হোসাইন মাসুম, মাওলানা নাসিরুদ্দীন, মুফতি জাহাঙ্গীর হোসেন কাসেমী, সালাহ উদ্দিন, আবদুস সালাম মুর্শিদী, মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, কেরামত আলী, মাওলানা ইমদাদুল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের তিন দফা দাবি আগামী বুধবারের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। তা হলো-বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাতে হবে, জাতীয় সংসদে জরুরী সভা ডেকে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করতে হবে এবং যতদিন পর্যন্ত ভারত সরকার নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা না করবে ও দোষীদের ফাঁসি না দিবে ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ভারতের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। তারা আরও বলেন, আগামী বুধবারের মধ্যে উল্লিখিত তিন দফা দাবি মেনে না নিলে বৃহস্পতিবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
বক্তারা বলেন, ইসলামের শত্রুরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাদেরকে মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভারতে নিরীহ মুসলমানদের নির্যাতন করা হচ্ছে, হাজার বছরের ইসলামি ঐতিহ্য নষ্টের পায়তারা করছে ভারতের বিজেপি সরকার। বিজেপি সরকার ধর্মের নামে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়।