কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের খারুয়ার পাড় গ্রামবাসীর ফকিরেরহাট আলিম মাদ্রাসার মাঠ দিয়ে চলাচলের রাস্তা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে গত ৪ জুন বন্ধ রাস্তা খুলে দিলে মাদ্রসা কর্তৃপক্ষ রাস্তা বন্ধের দাবিতে ইউএনও বরবার অভিযোগ দাখিল করে। উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রক্ষপুত্র নদের তীরঘেঁষা একটি গ্রাম খারুয়ার পাড়। গ্রামটিতে ৫ শতাধিক পরিবারের বাস। কৃষিকাজ, রিক্সা ,অটোরিক্সার শ্রমিক, দিনমজুর সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ গ্রামে বাস করে। গ্রামবাসীর যাতায়াতের একমাত্র পথ ফকিরেরহাট আলিম মাদ্রাসার মাঠ দিয়ে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাত এনে ঐ মাদ্রাসা মাঠ দিয়ে গ্রামবাসীদেরকে চলাচলে প্রায় বাধা প্রদান করে আসতো। অবশেষে গত দু সপ্তাহ আগে সুকৌশলে চলাচলের রাস্তায় মাদ্রাসা কতৃপক্ষ একটি টিনসেড ঘর নির্মাণ করলে স্থায়ীভাবে রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গ্রামবাসীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তা বন্ধ করার আগে গ্রামবাসীর যারা বিভিন্ন কাজে বাইরে গিয়েছিল তারাও আর ঐ রাস্তা দিয়ে গাড়ী-ঘোড়া নিয়ে গ্রামে ঢুকতে পারেনি এবং যারা গ্রামের ভিতরে ছিল তারাও বাইরে আসতে পারেনি। গ্রামবাসী আবদুল আজিজ(৭০) জানান, বৃটিশ আমল থেকে গ্রামবাসী এই মাদ্রাসা মাঠের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। গ্রামবাসীরাই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করে। অনেক অধ্যক্ষ চলে গেছেন তারা কোনোদিন রাস্তা চলাচলে বাধা দেয়নি। বর্তমান অধ্যক্ষ রাস্তাটি বন্ধ করায় গ্রামবাসীরা চলাচলে মারাতœক অসুবিধার মধ্যে পড়ে যায়। কেউ কেউ ফসলি জমি কিংবা জমির আইল দিয়ে যাতায়াত করতে থাকে। গোলেনুর (৫০) জানান, রাস্তা বন্ধ করার ফলে হাট-বাজার করা, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া,শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রাস্তাটি খুলে দিলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দায়ের করে। ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, এই রাস্তাটি দিয়ে বৃটিশ আমল থেকে ঐ গ্রামবাসীরা যাতায়াত করে আসছে। বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোঃ শমসের আলী জানান, মাদ্রাসার মাঠ দিয়ে লোকজন চলাচল করায় ক্লাস চলাকালীন পাঠদানে অসুবিধা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।