নীলফামারীর সৈয়দপুরে সরকারী নির্দেশনা থাকার পরও অজ্ঞাত কারণে ডায়াগনস্টিক সেন্টার,বেসরকারী হাসপাতাল,বিভিন্ন নামে ক্লিনিকগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না। অজ্ঞাত কারণে সৈয়দপুরে কেন যেন অভিযান বন্ধ করলো উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলেমুল বাশার।
দীর্ঘদিন থেকে সৈয়দপুরে গড়ে ওঠা বেসরকারী ক্লিনিকগুলোতে রোগীর সেবা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অযথা রোগীর বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা। অদক্ষ চিকিৎসক দিয়ে সেবা দেয়া। অদক্ষ নারী পুরুষকে পোষাক পরিধান করে তাদের দ্বারা রক্ত নেয়া। এ সকল অদক্ষ নারী পুরুষকে দিনরাত পরিশ্রম করে নিয়ে দেয়া হয় যৎ সামান্ন বেতন ভাতা। এমন অভিযোগ অনেকের। এ বিষয়ে কথা তুললে তাদের হারাতে হয় চাকুরী।
নকল ওষুধ,অযথা পরীক্ষা নিরীক্ষা,ভুয়া ডাক্তার,রোগি প্রতারণা,বাড়তি ওষুধ প্রদান,ব্যবসার আড়ালে অন্য ব্যবসা,ভুল অপারেশন,বাড়তি টাকা গ্রহন,সরকারী অনুমোদন বিহীন ব্যবসা,কর, ট্যাক্স ফাঁকি। এসকল অনিয়ম দুরীকরণে সরকার মাঠে নামায় প্রশাসনকে।
প্রতিদিন ওই সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালানোর নির্দেশনা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে সৈয়দপুরে তা বন্ধ রাখা হয়।
সৈয়দপুর ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমিতির সভাপতি সৈয়দ মাহফুজ হোসেন পাপ্পু বলেন,এখানে প্রায় ৪০ টির মত ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এদের বেশীর ভাগই কোন কাগজপত্র নেই। সরকার সুযোগ দিলেও এরা ওই সুযোগ কাজে লাগায়নি। কেন তারা কাগজপত্র না করে ল্যাবগুলো চালাচ্ছেন তা আমার জানা নেই। সরকার যে উদ্যেগ নিয়েছে আমি সাধুবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলেমুল বাশার বলেন,প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা রয়েছে। আমরা প্রথম দিন অভিযান পরিচালনা করেছি। কাগজপত্র না থাকায় সিলগালা করেছি। জরিমানা করেছি। বাকীদের একটা সময় দিয়েছি। যাতে করে তারা কাগজপত্র ঠিক করে নিতে পারে।
এরপর অভিযানে আমরা অনিয়ম পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাকিবুল ইসলাম বলেন,নিয়ম অনুযারী আমরা চলে আসছি। কেউ কেউ অনিয়ম করেছে। তাদের জন্য অন্যের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।