পিরোজপুরের নাজিরপুরের কলারদোয়ানিয়া ও দেউলবাড়ি দোবরা এ দুই ইউপি’র অধিকাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ন বলে দাবী প্রার্থীদের। জানা গেছে, আগামী ১৫ জুন ওই দুই ইউপি’র নির্বাচন অনিুষ্ঠিত হবে। এতে ১১ জন চেয়ারম্যান ও ৮২ জন সংরক্ষিত নারী ও সাধারন সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। উপজেলার দেউলবাড়ি দোবরা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাস্টার মো. অলি উল্লাহর অভিযোগ করে জানান, তার প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চশমা প্রতীকের এফএম রফিকুল ইসলাম বাবুলের বাড়ি সংলগ্ন ৬ নম্বর গাওখালী ওয়ার্ডের গাওখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেলতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৯ নম্বর পাকুরিয়া ওয়ার্ডের পূর্ব পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ ৩টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ন। গত ইউপি নির্বাচনগুলোতে এসব কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ক্যাডাররা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ও ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাঁধা দিয়েছিলেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল এমন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার ইউনিয়নের ১নম্বর বিল ডুমুরিয়া ওয়র্ডের বিলডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২ নম্বর ডুমুরিয়া ওয়ার্ডের ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩ নম্বর ডুমুরিয়া নেছারিয়া আলিম মাদরাসা, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পদ্মডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ন। তিনি জানান, ওই সব কেন্দ্রের পাশে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া, মালিখালী ইউনিয়ন ও বরিশালের বানাড়িপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি। বিগত নির্বাচনগুলোতে ওই সব এলাকা থেকে বহিরাগত ক্যাডারা এসে নৌকার পক্ষে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে। এমনকি চলতি নির্বাচনে ওই সব এলাকা থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসে তার (বাবুল) কর্মীদের হুমকী-ধামকি দিচ্ছে। উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারশ প্রতীকের মো. হাসানাত ডালিম জানান, তার ইউনিয়নের কুলুইতলি, কাশ্মির, সি কলারদোয়ানিয়া ও কলারদোয়ানিয়া এ ৪টি কেন্দ্র ঝুঁকির্পর্ন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বাড়ির কাছের কেন্দ্র ও বিগত নির্বাচনে ওই সব কেন্দ্রে বহিরাগত ক্যাডাররা ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেয়া সহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, নির্বাচনের দিন এলাকা ও কেন্দ্রে কোন ধরনের বহিরাগতরা যাতে ঢুকতে না পারে এবং নির্বাচন সুষ্ঠ করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, নির্বাচনকে সুষ্ঠ করতে প্রশাসনের উদ্যোগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে।