রংপুরের পীরগঞ্জে বড়বিলায় পোনা মাছ নিধনের প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনাকারী টীমের উপর হামলার ঘটনায় মোটা অংকের টাকায় দফারফা করলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। মামলা না হওয়ায় পীরগঞ্জ থানার ওসিকে দুষলেন ওই কর্মকর্তা। শুধু ক্ষতিপূরণের টাকার কথা স্বীকার করেছেন মৎস্য কর্মকর্তা। উল্লেখ্য,গত ১৮ মে দুপুরে উপজেলার বড়বিলায় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পীরগঞ্জ থানার পুলিশের সহায়তায় মৎস্য সংরক্ষণ আইনে পোনা মাছ নিধন প্রতিরোধে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় বড়বিলাপাড়ের কার্ডধারী কয়েকজন মৎস্যজীবি সদস্যের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনাকারীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় অর্ধ শতাধিক অবৈধ চায়না ঠুসি ও কারেন্ট জাল বিল থেকে অপসারণ পূর্বক জব্দ করা হয়। জাল ব্যবহারকারী মৎস্যজীবী সমিতির কার্ডধারী মৎস্য শিকারীরা জোট বদ্ধ হয়ে অভিযান পরিচালনাকারী টীমের উপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠসোঠা হাতে নিয়ে হামলা চালিয়ে জব্দকৃত জালগুলো ছিনিয়ে নেয়। তাঁরা টীমের সদস্যদেরকে এলোপাথারী মারপিট করে। এতে ৩ সদস্য আহত হয়। আহতদের মধ্যে সামসুল হক ও মমিনুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ হন। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এজাহার দিয়েছিলাম। কিন্তু ওসি মামলা নেয়নি। তিনি আরও বলেন,হামলাকারীরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৯ হাজার টাকা দিয়েছে। এরমধ্যে ভাংচুর হওয়া নৌকা মেরামতে ৮ হাজার টাকা এবং আমাদের আহত ব্যক্তিকে ১১ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর কোন টাকা নেয়া হয়নি। কেউ যদি বাইরে টাকা নেয়, তাতে আমার দোষ নেই। পাশাপাশি তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। তাই মামলা করিনি। সরকারি কাজে বাঁধাদানের ব্যাপারে মামলা করলেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাব তিনি কোন দেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মৎস্যজীবি বলেন, হামার দিন চলে না। আর মামলা করব্যা নায়, এই শর্তে হামার কাছে মাছের অপিসার একপালা (অনেকগুলো) ট্যাকা নিচে। পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আবদুল আউয়াল বলেন, মৎস্য অফিসার বাদী হয়ে অসম্পুর্ন এজাহার দিয়েছিল। আমরা তার সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি মামলা দেয়ার জন্য একদিনও থানায় আসেননি।