নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আমতলী উপজেলা বিএনপির সাড়ে ৩’শ নেতা কর্মীর নামে মামলা দেয়া হয়েছে। পুলিশের এসআই মোঃ ইউনুস আলী ফকির বাদী হয়ে সোমবার রাতে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ১৩ নেতাকর্মীকে মঙ্গলবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে একে স্কুল সংলগ্ন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহাসড়ক অবরোধ তরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন নেতাকর্মীরা। ওই বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশের এস আই ইউনুস আলী ফবির বাদী হয়ে আমতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জালাল আহম্মেদ ফকিরকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ৩১০ জন অজ্ঞাত আসামি করে সাড়ে ৩’শ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেয়া হয়েছে। পুলিশ গ্রেপ্তার ১৩ নেতাকর্মীকে মঙ্গলবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আমতলী পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মৃধা বলেন, পুলিশ বিএনপির নেতা কর্মীদের মারধরও করেছে আমার মিথ্যা মামলাও দিয়েছেন।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে সাড়ে ৩’শ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির ১৩ নেতাকে আদালতে পাঠানো হয়। তিনি আরো বলেন অপর আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।