গারো ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশন খ্রিস্টিয়ান হেলথ প্রজেক্ট এর গঠনতন্ত্র জালিয়াতি মামলায় বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারী রেভারেন্ড লিটন ম্রং,পরিতোষ ম্রং ও তরুণ দারিং এর জামিন না মঞ্জুরকরে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। অভিযুক্ত বাকি ৮ আসামিকে বিজ্ঞ আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। শুক্রবার দুপুরে জিবিসি কেন্দ্রীয় কার্যালয় দুর্গাপুর এর নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এামলার নথি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)এর তদন্ত রিপোর্ট সুত্রে জানাযায়, গারো ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশন বাংলাদেশ (জিবিসি) এর খ্রীস্টিয়ান হেলথ প্রজেক্টকে রেভাঃ লিটন ম্রং ও তার অনুসারিরা জিবিসি‘র অনুমোদন ছাড়াই ওই প্রজেক্টর গঠনতন্ত্র সংশোধন করার জন্য জয়েন্ট স্টক অব কোম্পানীজ এ- ফার্মস এর কাছে আবেদন করেন। আবেদনের সাথে আনুষাঙ্গিক নথি ও প্রয়োজনীয় দলিলাদি অসম্পূর্ণ থাকায় জয়েন্ট স্টক অব কোম্পানিজ এ- ফার্মস তাদের আবেদন রেকর্ডভুক্ত করেননি।
পরবর্তীতে লিটন ম্রং ও তার অনুসারিরা ঐ গঠনতন্ত্র জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এ- ফার্মস দ্বারা এমেন্ডমেন্ড করা হয়েছে মর্মে একটি ভুয়া সনদ প্রদর্শন করে জয়রামকুড়া এলাকায় গারো ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশন খ্রিস্টিয়ান হেলথ্ প্রজেক্ট পরিচালনা করতে থাকে। বিষয়টি জিবিসিএর কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ সরকারের যৌথ মূলধনী কোম্পানি এ- ফার্মস কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সংশ্লিষ্ট পরিদপ্তর জিবিসি‘র কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট পাস্টার শৈবাল সাংমাকে জানান, গারো ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশন খ্রিস্টিয়ান হেলথ প্রজেক্ট এর গঠনতন্ত্র সার্টিফাইড কপি তাদের দপ্তর কর্তৃক ইস্যু করা হয়নি এবং ওই সার্টিফাইড কপিতে স্থাপিত তারিখ, স্বাক্ষর ও ইস্যু নম্বর ভূয়া ও বানোয়াট। এই ভূয়া গঠনতন্ত্রের কপি খাঁটি হিসেবে মহাপরিচালক, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দাখিল করে দেশী-বিদেশী দাতা ও দাতাসংস্থা হইতে অর্থ গ্রহণ ও আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে `The Garo Baptist Convention Christian Health Project` নামে একটি এনজিও নিবন্ধন করিয়া নেয়, যাহারনিবন্ধন নম্বর- ৩২৭৭।
পরবর্তীতে লিটন ম্রং ও তার অনুসারীরা জালিয়াতির মাধ্যমে এসকল কার্যক্রম চালানোর কারণে জিবিসি’র সেক্রেটারি পাস্টার মনোজ চিসিম ময়মনসিংহের বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে (মামলা নং ৪২৬/২০২১) বিজ্ঞ বিচারক গত সোমবার ১২ জুন ২০২২ শুনানি শেষে লিটন ম্রং, পরিতোষ ম্রং ও তরুণ দারিং কে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।