লাকসামের ত্যাগী ও পরিশ্রমী বিএনপি নেতা উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবিক জীবন যাপন করছে। উন্নত চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। বিএনপির জন্য নিবেদিত প্রাণ উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ইরুয়াইন গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম মনু একসময় বিড়ি শ্রমিক দলের সভাপতি ও বর্তমানে উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি পদে রয়েছেন। বিএনপির প্রত্যেকটি মিছিল ও সমাবেশ হলেই তার উপস্থিতি দৃশ্যমান। বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও ভাগ্যের পরিবর্তন তেমন একটা হয়নি। বেকার ও আয় তেমনটা নেই। অভাবী সংসারে স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার চালানো এমনিতেই কষ্টকর। ইতোমধ্যে দরিদ্র ও অভাবী ৫৮ বছর বয়সী ৪ মেয়ে ৩ ছেলের বাবা মনিরুল ইসলাম মনু মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে বাচাঁর তাগিদে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন। এরইমধ্যে মনুর স্ত্রী রোকেয়া বেগম ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। মনু ও তার স্ত্রীর এফএনএসি পরীক্ষা করা হলে দুজনেরই ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ে। দরিদ্র ও অভাবী মনিরুল ইসলাম মনু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ হাসান মোহাম্মদ কাউসার এর মাধ্যমে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রফি উদ্দিনের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসা গ্রহন করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নিজ বাড়ীতে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন তারা। তাদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। স্বামী-স্ত্রীর দুজনের চিকিৎসা গ্রহন করতে হলে। মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এত বড় অংকের টাকা খরচ করা মনুর পক্ষে সম্ভব নয়। চিকিৎসার জন্য বিএনপি নেতা চৈতি কালাম ও পিনাকি গার্মেন্টের মনিরুল ইসলাম মনির কিছু অর্থ সহায়তা করেছেন। ব্যয়-বহুল পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসায় মনুর এসব টাকা খরচ করতে হয়েছে। বর্তমানে মনিরুল ইসলাম মনু ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম উন্নত চিকিৎসার অভাবে নিজ বাড়িতে মানবেতর জীপন-যাপন ও মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। তবে উন্নত চিকিৎসা হলে মহান আল্লাহর মেহেরবানীতে হয়তোবা তারা বেঁচে যেতে পারেন। সু চিকিৎসা ও রোগ মুক্তিতে মনু ও তার স্ত্রী সকলের দোয়া কামনা করেন।