শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বন্যার্তদের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে চার শতাধিক পরিবারের মাঝে খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জুন) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদর ইউনিয়নের ১০০ পরিবারের মাঝে এ খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও ফারুক আল মাসুদ, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, প্রকল্প বাস্তবান কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রাধা বল্লভ সরকার, সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন, সদস্য মো. জাহিদুল হক মনির প্রমুখ। এর আগে শুক্রবার বিকাল থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সদরে ৫০, নলকুড়ায় ১০০, কাংশায় ১৫০ পরিবারের মাঝে এসব খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়। খাবারের প্রতিটি প্যাকেটে চাল ১০ কেজি, ডাল ১ কেজি, তেল ১ লিটার, লবণ ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, মরিচের গুড়া ১০০ গ্রাম, হলুদেও গুঁড়া ২০০ গ্রাম, ধনিয়ার গুঁড়া ১০০ গ্রাম, চিড়া আধা কেজি, মুড়ি আধা কেজি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ১০টি। প্যাকেটে যে খাদ্যসামগ্রী রয়েছে, তা পাঁচ সদস্যের একটি পরিবারের এক সপ্তাহ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউএনও ফারুক আল মাসুদ বলেন, পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত ক্ষতিগ্রস্ত চার শতাধিক পরিবারের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) গভীর রাত থেকে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীর পানি উপচে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ঝিনাইগাতী, রামেরকুড়া, খৈলকুড়া, বনকালি, চতল ও আহম্মদ নগর, ধানশাইল ইউনিয়নের ধানশাইল, বাগেরভিটা, কান্দুলী, বিলাসপুর ও মাদারপুর এবং কাংশা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর চরণতলা, আয়নাপুর, কাংশা সহ ৩০টি গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়। প্রয়োজনের তুলনায় ত্রাণ তৎপরতা অপ্রতুল হওয়ায় কষ্টের সীমা নেই সাধারণ মানুষের।