ভৈরবে মেঘনা নদীর তীব্র স্্েরাতে ৪টি বসতি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ সময় চাতাল মিলের শ্রমিক ও মিস্ত্রীসহ ২ জন নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ ২ জন হলেন রহমত রাইছ মিলের চাতাল শ্রমিক মোস্তাক ও মিস্ত্রী শরীফ। তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের আয়নাগোফ এলাকায় বলে জানা গেছে। নিখোঁজ ২ জনকে উদ্ধারে ভৈরব ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিদর্শন করেছে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ ,উপজেলাসহকারী কমিশনার (ভূমি) জুলহাস হোসেন সৌরভ,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস,এম,বাকি বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ ,পৌরসভার ১নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আল আমিন সৈকত প্রমুখ। এছাড়াও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়রা ও চাতাল শ্রমিকরা জানান, রোববার সকাল ৮ টার দিকে মেঘনা নদীর প্রবল স্রােতে হঠাৎ করে চাতাল শ্রমিকদের ৩টি বসত ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় ঘরে বসবাসরত শ্রমিকরা অনেকে প্রাণ বাচাঁতে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেইও বসত ঘর থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে আনতে নিখোঁজ ২ জন ঘরে ঢুকলে বসত ঘর ভাঙনের সাথে তারা ও নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম উদ্ধার অভিযানে নামে।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, শোনেছি গতকাল চাতাল মিলের অংশে ফাটল দেখা দেয়। কিন্তু মালিক পক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি এবং আমাদেরকে ও জানাইনি। আজ সকালে তীব্র স্রােতে ৩টি বসত ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে ২ জন ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারকে ত্রাণ সহ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার রাজন মিয়া জানান, সকালে খবর পেয়ে আমরা নিখোঁজ ২ জনদের উদ্ধারে কাজ চালাচ্ছি। অভিযান অব্যাহত আছে।