জামালপুরের বকশীগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল, টানা বর্ষন ও নদ নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে বকশীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩৪৫ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে নিমজ্জিত। অপরদিকে দশানী,জিঞ্জিরাম ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্মাঞ্চলের মানুষ।
জানা গেছে,বকশীগঞ্জে টানা ভারী বর্ষণ ও বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কমপক্ষে ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলী জমি। মাঠের পর মাঠ শুধু পানি আর পানি। বিভিন্ন প্রজাতির শাক সবজি খেত ডুবে গেছে পানিতে। মাঠে ঘাটে পানি থাকায় গবাদি পশু গরু,ছাগল,মহিষ নিয়ে বেশি বেকায়দায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ। পানিতে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর,চিনারচর,কলকিহারা, উজান কলকিহারা, ভাটি কলকিহারা, শেখেরচর,জাগিরপাড়া, টুপকারচর, মাইছেনিরচর,মাদারেরচর,সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলের পাড়, ডেরুরবিল, শেকপাড়া, মদনের চর, চর গাজীরপাড়া,কুতুবের চর,চর কামালের বার্ত্তী, চর আইরমারী,ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের পলাশতলা, কামালপুর, সাতানীপাড়া, যদুরচর,নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের পাগলাপাড়া,সাজিমারা ও বগারচর ইউনিয়নের আলীর পাড়া, বগারচর নামাপাড়া, সাতভিটা, গোপালপুর ও বগারচর বান্দেরপারসহ অন্তত ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বেশিরভাগ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে তড়িঘড়ি করে অপুষ্ট পাট কেটে ফেলছেন কৃষকরা। এতে করে কৃষকরা আর্থিকভাবে দারুণ ক্ষতি সম্মুখীন হচ্ছেন। ধানুয়া কামালপুর এলসি স্টেশনে পানি ডুকে পড়েছে। এ ছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে কাচাঁ সড়ক ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর আজাদ জানান, অতিবৃষ্টির কারণে ৩৪৫ হেক্টর ফসলী জমি পানির নিচে নিমজ্জিত। পানি দ্রুত নেমে গেলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। আর যদি পানি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে ফসলের ক্ষতি হবে বলে জানান তিনি।
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান জানান, অতি বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রতিটি ইউপি’র চেয়ারম্যানদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখনো কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।