পাবনার সুজানগরের বালু ও মাটি ব্যবসায়ীরা এবার কবরস্থান এবং মসজিদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের জমির মাটি ও বালু লুট করছেন। এতে ওই সকল জমির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
জানা যায়, বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী পদ্মা নদীর চরাঞ্চল বা কোন কৃষি জমির মাটি ও বালু কাটা বা বিক্রয় করা নিষিদ্ধ। তবে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে সরকারি অবকাঠামো এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে মাটি ও বালু কাটা এবং বিক্রয় করা যাবে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন এক শ্রেণির অসাধু বালু ও মাটি ব্যবসায়ী প্রথমে উপজেলার নির্দিষ্ট কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মাটি ও বালু কাটা এবং বিক্রয় করার অনুমতি নেন। এরপর তারা বালুবাহী ট্রাকের সামনে কবরস্থান বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাটি ভরাট কাজে নিয়োজিত লেখা ব্যানার টাঙ্গিয়ে কিছু মাটি ও বালু ওই সকল ধর্মীয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বিক্রি করেন আর বেশিরভাগ বালু ও মাটি ব্যক্তিগত বাড়ি-ঘর উন্নয়নে বিক্রি করেন। উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের মুজাহিদপুর গ্রামের বাসিন্দা আরশেদ আলী বলেন এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী বালু ও মাটি ব্যবসায়ীরা সরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং কবরস্থানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাটি ভরাটের নাম করে প্রতিদিন অবৈধভাবে চরাঞ্চলের জমি থেকে শত শত ট্রাক বালু ও মাটি লুট করে বিক্রি করছেন। বিশেষ করে বালুবাহী ওই সকল ট্রাকের সামনে কবরস্থান বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাটি ভরাট কাজে নিয়োজিত লেখা ব্যানার থাকার কারণে কেউ কিছু না বলায় তারা নির্বিঘেœ অবৈধ বালু ও মাটির ব্যবসা করছেন। এতে ওই সকল জমির মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সেইসঙ্গে পদ্মাপাড়ের বাড়ি-ঘর হুমকীর মুখে পড়ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী বলেন কেউ সরকারি বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধভাবে বালু ও মাটি কেটে বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।