জামালপুরের মেলান্দহ এনজিও অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল এডভান্সমেন্ট’র (আশা) ব্রাঞ্চ ম্যানেজার শাহাদাৎ হোসেন ঋণের প্রলোভনে নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ জুন বিকেলের দিকে মেলান্দহ এনজিও আশার কার্যালয়ে।
জানা গেছে, ঋণ দেবার কথা বলে ম্যানেজার ওই নারীকে কয়েকদিন যাবৎ অফিসে ডেকে নিয়ে দিনভর বসিয়ে রেখে সন্ধ্যায় বিদায় দেন। গত ১৯ জুন ঋণ প্রদানের তারিখ। ঋণ দেয়ার শর্তে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ তুলে ওই মহিলা আশার অভিযুক্ত ম্যানেজারকে তার কক্ষেই জুতাপেটা করেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িগড়ি করে ঋণ দিয়ে ওই নারীকে বিদায় দেয়া হয়। ঘটনাটি মহিলার স্বজনদের কাছে জানালে বিক্ষুব্দ স্বজনরা আশার কার্যালয়ে এসে অভিযুক্ত ম্যানেজার শাহাদাত হোসেনকে গণধোলাই দিলে হট্রগোলের সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষনিকভাবে গোপনে নিস্পত্তির চেষ্টায় স্থানীয় দালালদের পিছে অর্থ খরচ করেও শেষরক্ষা হয়নি। বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা আশার কার্যালয় ঘিরে রাখলে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়।
সন্ধ্যার পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে অভিযুক্ত ম্যানেজার শাহাদাৎ হোসেনকে শারিরীক নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন-স্থানীয়রা মীমাংসাও করে দিয়েছেন। তিনি মীমাংসার বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি। এ সময় আবু তাহের নামে এক দালালকে দিয়ে ম্যানেজার সাংবাদিকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।
দালাল চক্রটি ওই নারীর জন্য ৩ লাখ এবং মধ্যস্থতাকারিদের জন্য ১ লাখ ২০ হাজার সর্বমোট ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা রফাদফার নিয়ে ম্যানেজারের সাথে দরকষাকষির বিষয়টিও বাইরে বলাবলি হচ্ছে।
অভিযুক্ত ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কিংবা ম্যানেজারের উপর আক্রমনকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না? এ বিষয়ে জামালপুর জোনাল ম্যানেজার জুলহাস উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে আসছি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া এই মুহুর্তে কিছুই বলতে পারছি না।
আশা জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ অঞ্চলের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার (ডিএম) আবদুল কাদের জানান-বিষয়টি খোঁজ-খবর নিতে যাচ্ছি। তদন্তের পর বিস্তারিত বলতে পারবো।