জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় বন্যার পানি সয়লাভ করেছে। সোমবার
(২০জুন) যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধি পাওয়ায় সারা জেলায় প্রায় ১২০টি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়ে পড়ায় তারমধ্যে ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা কার্য্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করেছে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আব্দুর রাজ্জাক। একই দিন ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম বামনা ঘোনাপাড়ার এলাকার বাসিন্দা আলম মিয়ার ৮বৎসর বয়সী শিশু কন্যা আরিফা আক্তার পনিতে ডুবে মারা গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চিনাডুলি ইউপির চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম। অপর দিকে ইসলামপুর গংগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ধলা মিয়ার ছেলে ময়না মিয়া(৩০) বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎতায়িত হয়ে পড়লে তাকে এলাকাবাসী দ্রুত ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুর রহমান তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এদিকে পাউবো সুত্রে জানাগেছে সোমবার বিকাল ৫টা নাগাদ ২৪ ঘন্টায় যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ১৭ সেন্টি মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৪৯সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি মাপক গেজ পাঠক আবদুল মান্নান ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুত্র জানায় বন্যার পানিতে এ পর্যন্ত ১৭১৮ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। এরমধ্যে ২৫ হেক্টরের আমন বীজতলা, ২১৫ হেক্টর জমির আউশ ধান, ১৩২৬ হেক্টরের পাট, ১২২ হেক্টর জমির শাকসবজি ও ৩০ হেক্টর জমির মরিচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী, বকসিগঞ্জ ও জামালপুর সদর ৭টি উপজেলায় বন্যার পানি সয়লাভ করেছে। ফলে বন্যা কবলিত কর্মহীন দরিদ্র পারিবারের জন্য এ পর্যন্ত ৭ উপজেলায় ৫০ মেঃ টন করে মোট ৩৫০ মেঃ টন চাল, নগদ ৭লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্ধ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন।
এ বিষয়ে জামালপুরের জেলা প্রশাসক শ্রাবন্তী রায় নিহত ক্ষতিগ্রস্ত পারিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ^াস দিয়েছেন।