বগুড়ার গাবতলীতে গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে স্থানীয় জনগন উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক (পিয়ন) আজিজুল হাকিম কে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় ঐ গৃহবধু থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আজিজুল হাকিম সোনারায় ইউয়িননের মোমিন খাদা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
থানায় দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানা গেছে, সোনারায় ইউপির খুপী হাড়িভিটা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী মোছাঃ নাছিমা বেগম (৪০) ছদ্মনাম এর সঙ্গে আজিজুল হাকিমের স্ত্রী ইউপি নির্বাচনের সময় ঐ গৃহবধুর পরিচয় ঘটে। এরপর থেকে আজিজুল হাকিম বিভিন্ন অজুহাতে তার বাড়িতে ও তার মুদি খানার দোকানে যাওয়া আসি করত। মাঝে মধ্যে তাকে অনৈতিক ও কু-প্রস্তাব দিত। এতে সে রাজি না হওয়ায় ১৯ জুন দিবাগত রাত ১০টায় ঐ গৃহবধুর স্বামী মাছ ধরতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রাত ১২ টার পর ২০ জুন আজিজুল হাকিম ও অলমেছ তার স্বামীর নাম ধরে ডাকাডাকি করে। তার স্বামী বাড়িতে না থাকায় ওই গৃহ বধু কে তারা বলে ভাবি দোকান খোলেন দুটি স্পিড নিবো। দরজা খোলার পর আজিজুল হাকিম ঘরে ঢোকে এবং অলমেছ ঘরের দরজা আটকে দেয়। আসামি আজিজুল হাকিম ঝাপটে ঘরে তার পরিধেয় বস্ত্র খুলে ধর্ষন করে। আজিজুল হাকিম কে ঝাপটে ধরে তার স্বামীকে ফোন দেয়। এ সুযোগে অপর আসামি পালিয়ে যায়। তার স্বামী এসে আজিজুল হাকিম কে আটক করে হৈ চৈ সৃষ্টি করলে গ্রামের লোকজন ছুটে আসে। এরপর তার স্বামী ৯৯৯ ফোন করলে গাবতলী থানার পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় গৃহবধু বাদী হয়ে আজিজুল হাকিম ও অলমেছ কে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং আজিজুল হাকিম কে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বলে জানান।