রাজবাড়ীতে বুধবার শহরের অংকুর স্কুল এ- কলেজ থেকে তক্ষকটি উদ্ধার করা হয়। দুপুরে বড় আকারের এই তক্ষকটি প্রাণিসম্পদ কার্যালয় এলাকায় অবমুক্ত করে দেওয়া হয়।
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খায়ের উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি একটি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী। আকৃতি প্রায় ১০ ইঞ্চির মতো। সাধারণত এত বড় আকারে তক্ষক খুব কম দেখা যায়। এই প্রাণীকে ঘিরে একটি প্রতারক জমজমাট ব্যবসা করে আসছে। একটি প্রতারক চক্র গড়ে উঠেছে। প্রতারকেরা এটি কোটি টাকায় বিক্রি করে বলে বিভিন্ন সময় খবর পাওয়া যায়। তক্ষকটি আমাদের হাতে আসার পর বনবিভাগ ও সদর উপজেলা পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। সবার সঙ্গে কথা বলার পর তা অবমুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে তা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় এলাকায় অবমুক্ত করে দেওয়া হয়।
অংকুর স্কুল এ- কলেজের প্রধান সহকারী কল্লোল আহমেদ বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। সকাল ১১টার দিকে অধ্যক্ষের কক্ষের শোকেস পরিস্কার করতে যাই। এ সময় একটি ক্রেস্টের পিছনে বড় আকারের এই তক্ষকটি দেখতে পাই। প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়ে ছিলাম। কয়েকজন শিক্ষককে ডেকে আনি। এরপর হাতে কাপর লাগিয়ে তক্ষকটি একটি পলেথিনের ব্যাগে ঢুকাই।