পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্কুল শিক্ষক কর্তৃক ৮ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়াগেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৩জুন) উপজেলার সদর ইউনিয়নের দীঘিরজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। আহত ছাত্ররা ওই দিন দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। আহতরা হচ্ছে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মো. রানা খান, মো. শামীম মোল্লা, ইসমাইল শেখ, নাঈম শেখ, নবম শ্রেণির লিখন শেখ, সাকিব শেখ, হৃদয় মিস্ত্রী ও অষ্টম শ্রেণির ইব্রাহিম শেখ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার কৌশিক সাহা জানান, আহত শিক্ষার্র্থীরা চিকিৎসা নিয়েছে। আহত শিক্ষার্থীরা জানান, গত বুধবার টিফিনের সময়ে আমরা স্কুল মাঠে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সাথে ফুটবল খেলি। এনিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মো. আবদুর রাজ্জাক আমাদের পিটিয়ে আহত করে। শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয় থেকে কোন বিদায় অনুষ্ঠান না হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করে। এ নিয়ে তাদের উপর শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত ছিলেন। তাদের সাথে ওই দিন ফুটবল খেলার অপরাধে খেলার পর আমাদেরকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নেয়া হয়। এ সময় আমরা অপরাধ স্বীকার করে প্রথমে প্রধান শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমাচাই। পা ধরা অবস্থায়ই ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আমাদের ইসমাইল, নাইম, সাকিব ও লিখন এ ৪ ছাত্রকে বেত্রাঘাত করতে থাকেন। ওই দিন খেলায় অংশ নেয়া রানা, শামীম, ইব্রাহিম ও হৃদয় এ ৪ জনকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আবারও প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নিয়ে বেত্রাঘাত করা হয়। এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আবদুর রাজ্জাকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে ওই সব শিক্ষার্থীদের দশম শ্রেণির কক্ষে ডেকে প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে সামান্য দুই, চরটা করে পিটুনি দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গির হোসেন জানান, ছেলেরা অন্যায় করেছে সে উপলক্ষে যা হয়েছে তাই বলে ফোন কেটে দেন। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ছিদ্দিকুর রহমান ফকির শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে আহত করার খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিটমাট করে দেয়া চিন্তা চলছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহিদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।