পিরোজপুরের নাজিরপুরে ঝর্না বিশ্বাস (৪৮) নামের এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ স্বজনদের। নিহত গৃহবধু উপজেলার দেউলবাড়ি দোবার ইউনয়িনের পদ্মডুবি গ্রামের সতিন্দ্র নাথ বিশ্বাসের স্ত্রী ও বরিশালের বানারিপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি গ্রামের গুনধর ঘরামির মেয়ে। নিহতের ভাই গৌতম ঘরামী জানান, তার বোনকে হত্যা করে গত বৃহস্পতিবার রাতে গোপনে পুড়িয়ে ফেলার কালে স্থানীয়রা বিষয়টি আমাদের জানান। ওই রাতে থানা পুলিশের মাধ্যমে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, ভগ্নিপতিকে বোনের মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞাসা করলে বোন গত বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হলে ওই দিন বিকালে চিকিৎসার জন্য জেলার নেছারাবাদে নেয়া হয়। সেখানের চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন। কিন্তু এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কিছুই জানানো হয় নি। নিহতের বোন সুরবালা বিশ্বাস জানান, তার ভগ্নিপতি সতিন্দ্র নাথ বিশ্বাসের আগে একটি বিয়ে ছিলো। সেই স্ত্রীকেও সে হত্যা করে। পরে তার বোন ঝর্নাকে বিয়ে করে। সে ঘরে জন্ম নেয়া একটি কন্যা শিশুকে কোনভাবে হত্যা করেছে। ঝর্নার দম্পত্তির ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। নাজিরপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, নিহতের স্বামীর দাবী তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। তবে ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।