ভৈরবের তুলাকান্দি গ্রামে ঝড়ের কারণে ৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি বিধস্ত হওয়ায় ১০দিন ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে কয়েকশত পরিবার। মসজিদ মাদ্রাসায় নেই অজুর পানি, বিদ্যুৎ না থাকায় রাতের বেলা শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায়্র ঘটছে মারাত্মক বিঘœ। আগামী ২/১ দিদরে মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে বলে আশ^স্থ করেছেন ভৈরব বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী।
জানা যায়, গত একসপ্তাহ আগে ঝড়ের কারণে ১১ হাজার ভোল্টেজের ৩াট খুঁটি এবং ৪৪০ ভোল্টেজের ১টি খুঁটি ভেঙ্গে গিয়ে মানুষের চলাচলের রাস্তায়, গাছপালা ও বসতঘরের চালার উপর পড়ে যায়। এতে বিভিন্ন ঘরবাড়ি ও ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসপত্রের ক্ষতিসাধন হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ অফিস তাৎক্ষনিক বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ করে দেন। এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের খুঁটি ও ক্যাবল গুলো ঘরবাড়ি ও রাস্তার উপর পড়ে জনর্দূভোগ সৃষ্টি হয়েছে। গরমের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে বাড়িঘর ছাড়ার উপক্রম হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মসজিদ মাদ্রাসায় মুসুল্লিসহ শিক্ষার্থীরা অজুর পানিও পাছেননা। রাস্তায় ও বাড়ি ঘরের উপর বৈদ্যুতিক ক্যাবল ও খুঁটি পড়ে থাকলেও এখনো পর্যন্ত সংযোগ পাওয়াতো দুরের কথা পড়ে যাওয় খুটিগুলো আজও পর্যন্ত সরানোর ব্যবস্থাও নেননি আবাসিক বিদ্যুৎ অফিস।
জানা যায়, বাড়ি ঘরের উপর দিয়ে যাওয়া হাই ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইনের কারণে ওই বাড়ির ২জন লোক টিনের চালার উপর উঠলে কারেন্টে লেগে মারা যায়। এছাড়াও শান্তি নগর থেকে তুলাকান্দি গ্রামে নদীর উপর দিয়ে আসা ক্যাবল গুলো ঝুলে পড়ায় দুইজন নৌকার মাঝিও নিহত হন।
এলাকাবাসির দাবী ,হাই ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইন গুলো বাড়ির উপর থেকে সরিয়ে রাস্তা ধরে যেন খুঁটি গুলো স্থাপন করা হয়। তাছাড়া শিমুলকান্দি গ্রামের কাছাকাছি তুলাকান্দি গ্রাম হলেও মুল লাইনটি শ্রীনগর, লুন্দিয়া, আগানগরসহ তিনটি ইউনিয়ন কাভার করে তুলাকান্দি গ্রামে নিয়ে আসা হয়। ফলে বিশাল এলাকার কোথাও কোন সমস্যা হলেই দীর্ঘদিনের জন্য বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রাখা হয়। তাদের দাবি, কালিপুর ফিডারের একটি লাইন তুলাকান্দি গ্রামের দুই প্রান্তে কিছু গ্রাহকের সংযোগ রয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে এবং বিদ্যুতের ভোগান্তি লাগবে কালিপুর ফিডারের সাথে যেন তুলাকান্দি গ্রামকে সংযুক্ত করা হয় এমন দাবি করেন গ্রামবাসী।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আবাসিক প্রকৌশলী মো ঃ শামীম আহমেদ বলেন, খুব দ্রুত তুলাকান্দি গ্রামবাসীর বিদ্যুতের সমস্যা দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে কালিপুর ফিডার ভাগ করা হলে তখন তুলাকান্দি গ্রামের গ্রাহকদের কালিপুর ফিডারের আওতায় আনার জন্য গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করেন।