হাতবদল হয়েছে টিকটকের সিংহাসন; চার্লি ডিআমেলিওকে হটিয়ে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটিতে সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার এখন সেনেগালিজ বংশোদ্ভূত টিকটকার খাবি লামির দখলে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ জানিয়েছে, ফলোয়ার সংখ্যার বিচারে লামি ২২ জুন রাতে চার্লি ডিআমেলিওকে টপকে গেছেন। টিকটকে ডিআমেলিওর ফলোয়ার সংখ্যা বর্তমানে ১৪ কোটি ২৩ লাখ; আর লামির ফলোয়ার ১৪ কোটি ২৭ লাখ।
লামি সেনেগালিজ বংশোদ্ভূত হলেও তার পরিবার ইতালিতে স্থায়ী হয়েছে দুই দশক আগে। প্রথম অবস্থায় টিকটকের ‘ডুয়েট’ এবং ‘স্টিচ’ ফিচারগুলোর অভিনব ব্যবহার দেখিয়ে সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। বিশেষ করে জটিল আর ক্ষেত্রবিশেষে উদ্ভট ‘লাইফ হ্যাক’ ভিডিওতে রিঅ্যাক্ট করে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে জনপ্রিয়তা পান ২২ বছর বয়সী এই তরুণ।
ইদানিং লামি কমেডি ভিডিও বানানোর দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে ভার্জ। নির্বাক ভিডিওগুলোতে নিজের অঙ্গভঙ্গি দিয়েই তিনি দর্শক হাসান।
লামির টিকটক যাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় মহামারীর লকডাউনে চাকরি হারানোর পর। তিনি বড় পরিসরে সাফল্য পাওয়া শুরু করেন গত বছরে। তবে সম্প্রতি ভক্তরা লামিকে টিকটকের শীর্ষে ওঠাতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন।
বছর দুয়েক আগে কৃষ্ণাঙ্গ নির্মাতাদের কনটেন্টকে অ্যালগরিদমে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল টিকটক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সমালোচনার মুখে কৃষ্ণাঙ্গ নির্মাতারা যেন সমান সুযাগ পান, সেটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল টিকটক।
সে সময় একটি ‘ডাইভার্সিটি কাউন্সিল’ গঠনের পাশাপাশি ‘দ্যাট হেল্প দ্য ব্ল্যাক কমিউনিটি’ নামের একটি অলাভজনক সংগঠনে অর্থ সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল টিকটক।
কিন্তু গত বছরে আবারও বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ ওঠে প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে। এর জেরে অনানুষ্ঠানিক ধর্মঘট ডেকে বসেন টিকটকের কৃষ্ণাঙ্গ নির্মাতারা। নাচের ভিডিওগুলোর কোরিওগ্রাফি করলেও টিকটক তাদের ‘পাওনা কৃতিত্ব দিচ্ছে না’ বলে অভিযোগ ছিল তাদের। তবে আপাতত কৃষ্ণাঙ্গ একজন কনটেন্ট নির্মাতাই টিকটকের রাজা।