সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি ও কটূক্তি করা যুবক আবদুল হাই (৩৫) কে আটক করেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফািরদগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন। এর আগে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক হাজী মাকসুদুল বাসার বাঁধন পাটওয়ারী ওই যুবকসহ দুই জনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়ার বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, গত ২৩ জুন ফেসবুক আইডি ‘ফরিদগঞ্জের মাটি’ নামক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে মানহানিকর (কটুক্তি) এবং পদ্মাসেতুর মাঝখানে প্রধানমন্ত্রীকে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যার হুমকিসহ স্ট্যাটাস দেয় যুবক আবদুল হাই। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্মআহব্বায়ক হাজী মাকসুদুল বাসার বাঁধন পাটওয়ারী পরদিন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। একই সাথে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের নির্দেশে পুলিশ তদন্তে নামে। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে দায়ের করা অভিযোগটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৯/৩১/৩৫ ধারায় নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করে অভিযুক্তদের আটকে নেমে পড়ে পুলিশ।
পরে থানা পুলিশের এসআই নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম নারায়ণগঞ্জ থেকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত আবদুল হাই (৩৫)কে গ্রেপ্তার করে। আটককৃত আবদুল হাইয়ের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়নের মূলপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম পিতা হাফেজ আহমেদ।
মামলার বাদী হাজী মাকসুদুল বাসার বাঁধন পাটওয়ারী জানান, ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেয়ার ঘটনাটি দেখে তিনি তাৎক্ষনিক মামলার সিদ্ধান্ত নেন। এই যুবক বিএনপির রাজনীতির জড়িত বলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন।
এই বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যার হুমকি সহ স্ট্যাটাস দিলে চাঁদপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে ফরিদগঞ্জ থানা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যাায়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। পরে রোববার (২৬জুন) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।