বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারে সড়কের উপরে দীর্ঘ বছর ধরে সপ্তাহে দুদিন গবাদীপশুর হাট বসায় শত শত শিক্ষার্থীসহ পথচারী ও যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক সময় গরু মহিষের হামলায় পথচারী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে অন্য জায়গায় গরুর হাট স্থানান্তর করার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে বালু ভরাট করা হলেও আজও গরুর হাটটি স্থানান্তর করা হয়নি।
উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া বাজারের হাইস্কুল সংলগ্ন রাজাপুর বাজার অভিমুখি সড়কের উপরে প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার গরু ছাগলের হাট বসে। রাস্তার দুইপাশে সারিবদ্ধভাবে গরু, ছাগল ও মহিষ বেধে রাখায় মানুষ ও যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারেনা। অনেক সময় গবাদী পশুর হামলায় পথচারী আহতের ঘটনা ঘটছে। এ সড়ক সংলগ্ন হাই স্কুল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী ভিতিকর পরিস্থিতি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে থাকে বলে অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন। আমড়াগাছিয়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম লাল, মনির তালুকদারসহ অনেকে বলেন, আসন্ন কোরবানীর পশুর হাটে ব্যপক ভীড় হবে তখন ঐ সড়কে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতে পারবেনা। গত দুই বছর পূর্বে এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে বিকল্প জায়গায় গরুর হাট সরিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে বালু ভরাট করা হয়েছিলো। কিন্তু হাটটি আজও সরানো হয়নি।
আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা স্কাউট্স এর কমিশনার মোঃ সরওয়ার আলম এ প্রতিনিধিকে জানায় সপ্তাহে দু-দিন রাস্তার উপর গরুর হাট বসায় ওই রাস্তা দিয়ে আমার স্কুলে আসা অসংখ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকদের যাতায়াতে মারাত্মক বিগ্ন ঘটছে। পাশাপাশি অনেক সময় কাপড় চোপড়ও নষ্ট করে ফেলে। অবিলম্বে গরুরহাটটি অনত্র সরিয়ে নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, রাস্তার উপর গরুর হাটের জন্য মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ হওয়ায় বিকল্প জায়গা নির্ধারণ করে দুইলাখ টাকা ব্যয়ে বালু ভরাট করা হয়েছে ইট সলিং না হওয়ায় হাট সরানো যাচ্ছেনা। উপজেলা পরিষদ থেকে ইট সলিং করার কথা রয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, আমড়াগাছিয়ায় সড়কের উপর গরুর হাটের বিষয় তার জানা নেই। বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, আগামী অর্থ বছরের এডিপি বরাদ্দ পেলে আমড়াগাছিয়ার গরুর হাটের জন্য বালু ভরাটের জায়গায় ইট সলিং করে দেওয়া হবে।